পিকে।
চলতি মাসের গোড়ায় ভার্চুয়াল জনসভা করেছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুক্রবার বিজেপির আরও এক কেন্দ্রীয় নেতা তথা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও ভার্চুয়াল জনসভা করেন। সেগুলিতে উত্তরবঙ্গ থেকেও ব্যাপক সাড়া পড়ে বলে দাবি বিজেপির। লকডাউন এবং সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এবার বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচারে নামতে সেই ‘ভার্চুয়াল’ রাস্তা নিচ্ছে তৃণমূল। পিকের নির্দেশে এই প্রচারের বেশিরভাগই হবে ভার্চুয়াল। শনিবার দার্জিলিং জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার জানান, শুক্রবার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, জেলায় তৃণমূলের ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপ মাধ্যমেই মূলত প্রচার করা হবে। তবে এগুলো ছাড়াও মূল্যবৃদ্ধি এবং বাংলাকে বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হবেন নেতারা।
শনিবার শিলিগুড়িতে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে দলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার জানান, দলের থেকে নির্দেশ এসেছে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের ভূমিকা, পাশাপাশি বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগ প্রচার চালানো হবে বলে কিছুটা ইঙ্গিত দেন তৃণমূল নেতারা। তাঁদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে যখন পেট্রোপণ্যের দাম অর্ধেকের কম। গত জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত পাঁচ বার বেড়েছে পেট্রোপণ্যের দাম। দলের জেলা সভাপতি রঞ্জন বলেন, ‘‘এর জেরেই প্রত্যেকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে চলেছে। কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। উপরন্তু প্রধানমন্ত্রীর তহবিল এবং নিয়ে দুর্নীতি এবং বাংলাকে বঞ্চনার নানা ফন্দি এঁটে চলেছে তারা।’’
কীভাবে হবে এই প্রচার? রঞ্জন জানান, দলের জেলা কমিটি থেকে শুরু করে ব্লক এমনকি পঞ্চায়েত পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আগেই তৈরি করেছিল তৃণমূল। কিন্তু বিজেপির এই প্রচার অভিযান উত্তরবঙ্গে কিছুটা সাড়া পাওয়ার পরেই ওই প্রচারমাধ্যম গুলিকে আরও নিবিড়ভাবে ব্যবহার করা হবে বলে সূত্রের দাবি। কী প্রচার হবে? তৃণমূল জেলা সভাপতির দাবি, করোনা সংক্রমণের পর থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ শুরু করেছে। ২৫ হাজারেরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিক দার্জিলিংয়ে ফিরেছে। কিন্তু কোনও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আওতায় আনা হয়নি। এসব নিয়েই প্রচার চলবে। দার্জিলিং জেলা তৃণমূল ভার্চুয়াল সেলে সাতজন কর্মী রয়েছেন। শুক্রবার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পরে পিকের দেখানো রাস্তায় জেলাওয়ারি প্রচারের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হচ্ছে।
বিজেপির উত্তরবঙ্গের নেতা তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রথীন বসু বলেন, ‘‘তৃণমূলের তরফে প্রচার চলতেই পারে তবে মানুষ কতটা বিশ্বাস করবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কেন্দ্র প্রচুর পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করলেও স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বাড়ছে না। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ছাড়াও বিভিন্ন কোভিড হাসপাতালে মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছেন না, সময় টেস্ট হচ্ছে না, সব মিলিয়ে রাজ্য সরকার ব্যর্থ।’’