unnatural death

শিলিগুড়ির হোমে নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য, তদন্তে পুলিশ

এলাকার কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ জানিয়েছেন, প্রথমে হোম কর্তৃপক্ষ তাঁদের কিছুই জানাননি। পরে জানাজানি হলে পুলিশ আসে। তাঁর দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:২৯
Share:

— প্রতীকী ছবি।

শিলিগুড়ির হোমে এক নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু। ঘটনায় হোমের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পাশাপাশি, নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ওই নাবালিকা চলতি বছরের আগস্ট মাসে ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগও দায়ের হয়। গ্রেফতার হন অভিযুক্ত। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন ধৃত৷ অন্য দিকে, শিলিগুড়ির হোমে ঠাঁই হয় নাবালিকার। অগস্টের শেষ দিক থেকে হোমেই থাকত নাবালিকা। তার ব্যবহারে তেমন অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করা যায়নি বলেই দাবি আবাসিকদের একাংশের।

বুধবার ভোরবেলা ওই নাবালিকার নিথর দেহ উদ্ধার হয় হোমের শৌচালয় থেকে। এর পরেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। হোমের দ্বায়িত্বে থাকা দেবযানী দেব ভৌমিক বলেন, ‘‘গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে হোমের একটি বাচ্চা আত্মঘাতী হয়েছে। গোটা ঘটনা প্রশাসন-সহ আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। যা ব্যবস্থা গ্রহণ করার তা করা হবে। কিন্তু কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটে গেল, তা বুঝতে পারছি না।’’

Advertisement

এলাকার কাউন্সিলর তথা শিলিগুড়ি পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘এত বড় একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেল কিন্তু হোম কর্তৃপক্ষ প্রশাসনকে কিছুই জানাননি। আমি জানতে পেরে তাঁদের সঙ্গে কথা বলি। আদালতের নির্দেশেই মেয়েটিকে এখানে রাখা হয়েছিল। অভিযুক্ত জেল হেফাজতে রয়েছেন। পুলিশের সঙ্গেও কথা বলেছি। দেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে পুলিশ আমাকে জানিয়েছে৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই সবটা পরিষ্কার হবে।’’

নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সকালে ফোন করে মেয়ের মৃত্যুর কথা তাঁদের জানানো হয়। নাবালিকার পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘‘কেন এ ধরনের ঘটনা তা আমরা বুঝতে পারছি না। ফোনে কথা হত। কখনও কোনও অসুবিধার কথা জানায়নি৷ তাহলে কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটাল? আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement