কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাইরন বিশ্বাস। — ফাইল ছবি।
মঙ্গলবার রাতে তৈরি হয় নীল-নকশা। বুধবার ভোর থেকে শুরু হয় সাগরদিঘির তৃণমূল বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের বাড়ি এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে আয়কর দফতরের তল্লাশি। একযোগে বাইরনের শমসেরগঞ্জের বাড়ির পাশাপাশি, তাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং হাসপাতালেও অভিযান চালাচ্ছেন আয়কর কর্তারা। এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সাগরদিঘির বিধায়কের প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও সব দেখে মুখ খুলেছেন বাইরনের বাবা বাবর আলি বিশ্বাস।
বুধবার সকাল ছ’টা বাজার একটু আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের স্টিকার দেওয়া একাধিক গাড়ি এসে দাঁড়ায় শমসেরগঞ্জে বাইরনের বাড়ির সামনে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘিরে ফেলে বাড়ি। বাড়ির ভিতরে ঢুকে যান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। তল্লাশি যখন শুরু হয়ে গিয়েছে, তখন মুখ খোলেন বাইরনের বাবা বাবর। তিনি বলেন, ‘‘কেন তল্লাশি, কী কারণে তল্লাশি, আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। আমাদের দীর্ঘ দিনের ব্যবসা। ছেলের রাজনীতির সঙ্গে ব্যবসার কোনও সম্পর্ক নেই।’’
এ দিকে তড়িঘড়ি আয়কর আধিকারিকরা বিধায়কের বাড়িতে ঢুকে পড়ায় ব্যাহত হয় দৈনন্দিন কার্যকলাপ। স্থানীয় সূত্রের খবর, বাইরনের সন্তানদের স্কুলে যাওয়াও আটকে যায়। যদিও কিছু ক্ষণের মধ্যেই আয়কর কর্তারা বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানোর অনুমতি দেন। বাড়ির গাড়িতে করেই তারা স্কুলে রওনা হয়। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই বাইরনের বাড়িতে প্রবেশ করে আয়কর দফতরের আরও একটি দল। সেই দলে তিন জন আধিকারিক ছাড়াও ছিলেন দু’জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। আধিকারিকদের হাতে পাঁচটি ব্যাগে ঠাসা নথি ছিল।