শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে এল দুই রাজঅতিথি— আকবর ও সীতা। —নিজস্ব চিত্র।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে এল দুই রাজঅতিথি— আকবর ও সীতা। ত্রিপুরার বিশালগড়ের সিপাহিজলা চিড়িয়াখানা থেকে সোমবার এই সিংহ দম্পতিকে নিয়ে আসা হয়েছে। এরই সঙ্গে একজোড়া লেপার্ড ক্যাট ও চশমাবাঁদর বা ম্যাজেস্টিক লাঙ্গুরও আসে।
রাজ্য জু অথরিটি ও বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আকবরের জন্ম ২০১৬ সালে। বাবা দুষ্মন্ত ও চিন্ময়ী ২০১৬ সালে সিপাহিজলা চিড়িয়াখানায় তিন শাবকের জন্ম দিয়েছিল। পরে তাদের নামকরণ করা হয়েছিল ৭০ দশকের অমিতাভ বচ্চন ও ঋষি কাপুরের সিনেমা অমর, আকবর ও অ্যান্টনির নামে। সেই তিন শাবকের মধ্যে আকবরকে বেঙ্গল সাফারি পার্কের জন্য বেছে নেয় সেন্ট্রাল জু অথরিটি ও রাজ্য জু অথরিটি। এখন তার বয়স সাত বছর। ত্রিপুরা চিড়িয়াখানাতেই জন্ম সীতার। তার জন্ম ২০১৮ সালে। এখন সীতার বয়স পাঁচ বছর।
বন দফতর জানিয়েছে, বেঙ্গল সাফারি পার্কে আসার আগে থেকেই আকবর ও সীতার একসঙ্গে থাকার অভ্যাস রয়েছে। বেঙ্গল সাফারিতে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের প্রজননের নজির রয়েছে। তাই এ বার সিংহের প্রজননেও সাফল্য আসবে বলে আশাবাদী পার্ক কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, নতুন বছরের শুরুতেই রয়্যাল বেঙ্গল, গন্ডার, হাতি সাফারির পাশাপাশি সিংহের সাফারি মজা উপভোগ করতে পারবেন পার্কে আসা পর্যটকেরা। আর সিংহের আগমনে পার্কে পর্যটকদের আরও ঢল নামবে বলেও মনে করছেন কর্তৃপক্ষ।
সড়কপথে নিয়ে আসার সময় সিংহ দম্পতি যাতে বেশি কষ্ট না হয়, তার জন্য গ্রিন করিডরের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পশু বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল একটি বিশেষ দল। প্রথমে সিংহ দু’টিকে ত্রিপুরা থেকে অসম নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একরাত বিশ্রামের পর তাদের বেঙ্গল সাফারিতে নিয়ে যাওয়া হয়। রাজ্য জু অথরিটির সদস্য সচিব সৌরভ চৌধুরী বলেন, ‘‘সিংহ দম্পতিকে নিরাপদেই বেঙ্গল সাফারিতে নিয়ে আসা হয়েছে। তারা সুস্থই রয়েছে। তবে এখন তাদের নাইট শেল্টার ও আলাদা এনক্লোজারে রাখা হবে। এখনই পর্যটকদের জন্য সামনে আনা হবে না ৷ বেঙ্গল সাফারির পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার পর তাদের প্রকাশ্যে আনা হবে।’’ বন দফতর সূত্রে খবর, সিংহ সাফারির জন্য ৯৬ একর এলাকায় আলাদা এনক্লোজ়ার তৈরি করা হয়েছে। প্রতি দিন সিংহ দম্পতিকে পাঁচ থেকে আট কেজি করে মাংস দেওয়া হবে।