হায়দরাবাদকে হারানোর পর মোহনবাগানের ফুটবলারেরা। ছবি: সমাজমাধ্যম।
যতই দলে চোট-আঘাতের সমস্যা থাকুক, হায়দরাবাদের কাছে যে মোহনবাগান হারতে পারে এটা অতি বড় সমালোচকও আশা করেননি। সেটা হয়ওনি। তিন গোলে অনায়াসে জিতেছে সবুজ-মেরুন। তার পরেই কলকাতা ডার্বির গ্রহে ঢুকে পড়ল মোহনবাগান শিবির। হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে জয়ের আত্মবিশ্বাস যে আসন্ন কলকাতা ডার্বিতেও তাদের শক্তি জোগাবে, এই ব্যাপারে একমত মোহনবাগানের কোচ হোসে মোলিনা ও লিস্টন কোলাসো।
আগামী ১১ জানুয়ারি আইএসএলের ফিরতি বড় ম্যাচের আগে বৃহস্পতিবারের জয় মোহনবাগানকে বাড়তি অক্সিজেন জোগালেও ইস্টবেঙ্গল যে ভাবে ক্রমশ ছন্দে ফিরছে, তাতে ডার্বিতে তাদের লড়াই কঠিন হবে বলে মনে করেন লিস্টন। ম্যাচের পর বলেছেন, “সব জয়ই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তবে ডার্বি অন্য ধরনের ম্যাচ। ফুটবলার, সমর্থক সবার কাছেই অন্য রকমের। ইস্টবেঙ্গল যে ভাবে খেলছে তাতে আমাদের কাছে ম্যাচটা বেশ কঠিন হবে। কিন্তু আজকের মতো কোচের নির্দেশ মেনে খেলতে পারলে ওই ম্যাচেও পয়েন্ট পেতে পারি। ডার্বিতে সাফল্য-ব্যর্থতা আমাদের উপরই নির্ভর করছে।”
মোলিনার মাথাতেও ঢুকে পড়েছে ডার্বির ভাবনা। তিনি বললেন, “এর পর বড় ম্যাচ। তার আগে বেশ কয়েক দিন ছুটি। সময়টাকে কাজে লাগাতে হবে। সব বিভাগেই উন্নতি করতে হবে। আমরা ভাল দল ঠিকই। তবে নিখুঁত নই। সব জায়গাতেই এখনও উন্নতির অবকাশ আছে। সেরা দল হতে গেলে সব দিক দিয়েই উন্নতি করে যেতে হবে।”
মোলিনার সংযোজন, “আশা করি এই ৯-১০ দিনের বিরতিতে আমাদের চোট পাওয়া খেলোয়াড়রা সেরে উঠবে। তবে ইস্টবেঙ্গলেরও অনেকের চোট আছে। আমাদের সব ফুটবলারকেই সুস্থ করে তুলতে হবে। আশা করি ডার্বিতে সবাইকেই দলে পাব। ডার্বি জিতে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে চাই আমরা।”
বৃহস্পতিবারের জয় নিয়ে মোলিনা বলেছেন, “অনেক সুযোগ পেয়েছি। হায়দরাবাদও পেয়েছে। তবে আমাদের ছেলেরা বেশি ভাল খেলেছে। আরও গোল করতে পারতাম। তবে তিন গোলে জেতাও খারাপ নয়।”
এ দিন হায়দরাবাদের গোলে মোহনবাগানের নেওয়া আটটি শটের মধ্যে পাঁচটিই ছিল লিস্টন কোলাসোর। তবে হায়দরাবাদের গোলকিপার আরশদীপ সিংহ ছ’টি প্রায় নিশ্চিত গোল বাঁচান। নিজে গোল করতে না পারলেও টম অলড্রেডের গোলে সাহায্য করতে পেরে খুশি লিস্টন। বলেছেন, “গোল করতে পারিনি তো কী হয়েছে। একটা গোলে অ্যাসিস্ট করেছি। দলকে তিন পয়েন্ট এনে দিতে পেরেই আমি খুশি। গোলের সুযোগ হাতছাড়া হলে তো হতাশা আসেই।”