সনিয়া গান্ধী এবং প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে হয়তো প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা করবেন না সনিয়া গান্ধী। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রীকে রাজ্যসভায় প্রার্থী করতে পারে হাত শিবির। সে ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলী কেন্দ্র থেকে সনিয়ার বদলে তাঁর কন্যা প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা প্রার্থী হতে পারেন ’২৪-এর ভোটে।
কংগ্রেস সূত্র উদ্ধৃত করে একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, রাজস্থানের আসন থেকে রাজ্যসভায় প্রার্থী হচ্ছেন রায়বরেলীর সাংসদ সনিয়া। আর সে ক্ষেত্রে প্রিয়ঙ্কা প্রথম বার লোকসভা ভোটে লড়তে চলেছেন। বস্তুত, রায়বরেলীর মতো কেন্দ্রে কংগ্রেসের এই প্রার্থী বদলের সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কয়েক দশক ধরে সনিয়া ওই কেন্দ্রের সাংসদ। এমনকি, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবির সময়ও রায়বরেলীতে দাঁত ফোটাতে পারেনি বিজেপি। অন্য দিকে, কংগ্রেসের আর এক ‘দুর্গ’ উত্তরপ্রদেশের অমেঠীতে বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানির কাছে পরাজিত হন রাহুল। তিনি গত লোকসভা ভোটে অমেঠীর সঙ্গে সঙ্গে কেরলের ওয়েনাড় থেকেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ওয়েনাড় থেকে জয়ী হয়ে সংসদে যান রাহুল।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, রাজস্থান থেকে সনিয়াকে রাজ্যসভার প্রার্থী করার পাশাপাশি কর্নাটক আসনের জন্য প্রার্থী করা হচ্ছে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে। তিনি বাংলা থেকে রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। এ ছাড়া অজয় মাকেন, সৈয়দ নাসের হুসেনকে সংসদের উচ্চকক্ষে পাঠানোর ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে কংগ্রেস। আগামী এক-দু’দিনের মধ্যেই প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করতে পারে কংগ্রেস।
ঘটনাচক্রে বাজেট অধিবেশনের সময় কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, লোকসভা ভোটে লড়াই করার আত্মবিশ্বাস নেই কংগ্রেসে। অনেক সাংসদই রাজ্যসভার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। কংগ্রেসকে উদ্দেশ্য করে তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘‘আমি দেখছি, আপনাদের অনেকেরই ভোটে লড়ার মতো সাহস খুইয়ে ফেলেছেন। গত বারের লোকসভা ভোটেও বেশ কিছু আসনে প্রার্থী বদল হয়েছিল (কংগ্রেসে)। এ বারেও শুনছি অনেক বদল আসছে। এটাও শুনছি, অনেকেই লোকসভার বদলে রাজ্যসভার দিকে ঝুঁকছেন।’’