—ফাইল চিত্র।
সীমান্ত পেরিয়ে লাইন পাতা হয়েছে। বিভিন্ন স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারিত হয়েছে। অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল বসেছে। দ্রুত গতিতে যাতে ট্রেন ছুটতে পারে, সে জন্য মূল লাইনের উচ্চতা খানিক বাড়িয়ে পোক্ত করার কাজও শেষ। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে এ দিন দাবি করা হয়, দুই দেশ থেকে সবুজ সঙ্কেত মিললে এ দিন থেকেই হলদিবাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ট্রেন চলাচল শুরু করে দেওয়া যেতে পারে। রেল সূত্রে দাবি, তিন বছরের মধ্যে পুরো পরিকাঠামোর খোলনলচে বদলে ফেলে লাইন ট্রেন চলাচলের উপযুক্ত করা হয়েছে। ট্রেন চলাচলের উদ্বোধনের দিন ঘোষণা হলে শুধু আরেক দফা রং চাপানো হবে। আগামী মাসের মাঝামাঝি নরেন্দ্র মোদী-শেখ হাসিনার ভিডিয়ো বৈঠক রয়েছে। রেলকর্তাদের একাংশের প্রশ্ন, সে দিনের ভিডিয়ো বৈঠকে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি লাইনের প্রসঙ্গ উঠবে কি?
রেল সূত্রের খবর, আগামী মাস থেকেই দু’দেশের মধ্যে পরীক্ষামূলক ভাবে কিছু ট্রেন চলানো হতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রথমে পণ্যবাহী রেকই চালানো হবে। পরীক্ষার জন্য অবশ্য খালি রেকও চালানো হতে পারে। সেই চলাচল ত্রুটিহীন হলে যাত্রিবাহী ট্রেন চটালানোর প্রশ্ন আসবে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের অন্দরের খবর, মার্চ মাস থেকে যাত্রিবাহী ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি চলছে বহু দিন ধরেই। তবে পুরোটাই একেবারে বিভাগীয় স্তরেই রয়েছে। হলদিবাড়ি এবং জলপাইগুড়ি, দুই স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য অনেকটাই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম হয়েছে। স্টেশনে নতুন করে দু’টি লাইনও পাতা হয়েছে। ট্রেনের এক প্রান্ত থেকে ইঞ্জিন কেটে অন্য প্রান্তে নিয়ে যাওয়ার মতো লাইনও বসানো হয়েছে। এত দিন হলদিবাড়ি থেকে রানিনগর পর্যন্ত পুরনো সিগন্যাল ব্যবস্থা ছিল। তা-ও বদলে আধুনিক করা হয়েছে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, “হলদিবাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগের সব পরিকাঠামো আমাদের দিকে তৈরি। যে দিন নির্দেশ আসবে সে দিন থেকেই ট্রেন চালানো যাবে।”
অন্য দিকে, নিউ জলপাইগুড়ি থেকে নিউ কোচবিহার পর্যন্ত বিদ্যুতের ওভারহেড তার নিয়ে যাওয়ার কাজও আগামী মাসে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে রেল। জুলাই মাস থেকে এই পথ দিয়ে এনজেপি থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত বিদ্যুতচালিত ইঞ্জিনেই ট্রেন ছুটবে বলে রেল সূত্রের খবর।