উদ্ধার সিকিমে। নিজস্ব চিত্র।
প্রবল তুষারপাতের জেরে পাহাড়ি রাস্তায় ফের আটকে পড়লেন শতাধিক পর্যটক। বুধবার বিকেলে উত্তর সিকিমের ইয়ুমথাং এলাকায় আটকে পড়েন পর্যটকেরা। সিকিম পুলিশ প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিন দুপুরের পর থেকেই সিকিমের আবহাওয়া খারাপ হতে শুরু করে। সূর্যাস্তের সময় প্রবল তুষারপাত শুরু হয় ইয়ুমথাং এবং লাচুং এলাকায়।
তুষারপাতের জেরে প্রায় ৩০টি গাড়িতে কমবেশি ১৫০ জন পর্যটক আটকে পড়েছিলেন বলে খবর। রাতেই সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারীদল ওই এলাকায় রওনা দিয়েছিল। সেনার তরফে কর্নেল এস জে তিওয়ারি একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানান, লাচুংয়ে হিমাঙ্কের নীচে নেমে গিয়েছিল তাপমাত্রা। সেখানে আটকে পড়া পর্যটকদের মধ্যে এক মহিলার হাত ভেঙে গিয়েছে। কয়েক জন পর্যটকের শ্বাসকষ্ট রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, আটকে পড়া সবাইকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিকটবর্তী সেনা ছাউনিতে। সেনার চিকিৎসকেরা তাঁদের শুশ্রূষা করছেন। খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
গত ২৮ ডিসেম্বরও নাথুলা থেকে ফেরার পথে ভারী তুষারপাত এবং তুষারঝড়ে আটকে পড়েছিলেন পর্যটকেরা। সেখানে ১৪ মাইল এলাকায় সেনাছাউনি থাকায় তাঁদের সেখানে রেখে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পরে তাঁদের গ্যাংটকের দিকে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়।
উত্তর সিকিম প্রশাসন সূত্রের খবর, লাচুং থেকে ইয়ুমথাং, জিরো পয়েন্টেই পর্যটকেরা সাধারণত ঘুরতে যান। এ দিনও পর্যটকদের গাড়িগুলি পর পর লাচুংয়ের দিকেই ফিরছিল। কিন্তু প্রায় ৩০টি গাড়ি রাস্তায় তুষারঝড়ে আটকে পড়ে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘এ দিন দুপুর থেকেই উত্তর সিকিমের কয়েকটি জায়গায় আবহাওয়া খারাপ হতে শুরু করে। তার জেরেই ইয়ুমথাং এবং লাচুংয়ের দিকে এই প্রবল তুষারপাত।’’