সাফারির মধ্যেই খারাপ গাড়ি, আতঙ্কে পর্যটক

গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগী পর্যটকেরা। তাঁদের অভিযোগ, সাহায্যের জন্য চিৎকার করলেও কাউকে পাওয়া যায়নি।

Advertisement

শুভঙ্কর চক্রবর্তী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৯ ০৫:৪৭
Share:

এই গাড়িটিই খারাপ হয়েছিল। নিজস্ব চিত্র

গাড়ির ভিতরটা ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। এসি কাজ করছে না। চিতাবাঘের আক্রমণের ভয়ে খোলা যাচ্ছে না গাড়ির দরজা, জানলা। পর্যটকদের অভিযোগ, এই অবস্থায় রবিবার বিকেলে প্রায় একঘণ্টা গভীর জঙ্গলের ভিতরে আটকে থাকতে হয়েছে তাঁদের। শিলিগুড়ি কাছে বেঙ্গল সাফারির ঘটনা। সাফারি কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেল চারটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে লেপার্ড সাফারি এলাকায়।

Advertisement

গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগী পর্যটকেরা। তাঁদের অভিযোগ, সাহায্যের জন্য চিৎকার করলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। তাঁদের দাবি, গাড়ির চালক সাফারি কর্তৃপক্ষের দফতরের বহুবার ফোন করেছে। প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে উদ্ধারকারী দল পৌঁছে পর্যটকদের অন্য একটি গাড়িতে তুলে জঙ্গলের বাইরে নিয়ে আসে। সাফারির আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভও দেখান পর্যটকদের একাংশ। গাড়িতে থাকা পর্যটক অভয়কুমার ভগত বলেন, ‘‘গাড়ির ভিতরে ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছিল। আতঙ্কে সবাই চিৎকার করছিল। গাড়ির বাইরেও বেরনো যাচ্ছিল না। সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের চরম গাফিলতিতেই দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকতে হয়েছে। সময়মত উদ্ধারকারী দল পাঠালে এমনটা হত না।’’

সাফারি সূত্রে জানা গিয়েছে, যে গাড়িটি খারাপ হয়েছিল সেটিতে ২০ জন পর্যটক ছিলেন। তাঁদের মধ্যে মহিলা, শিশু ও বয়স্করাও ছিলেন। সকলেই ‘গ্র্যান্ড সাফারির’ জন্য টিকিট কেটেছিলেন। বেলা আড়াইটের সময় সাফারি শুরু হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা ঘোরার পরে গাড়ি বিগড়ে যায়। গাড়িতে থাকা আর এক পর্যটক মহানন্দ মণ্ডল বলেন, ‘‘যেখানে গাড়ি খারাপ হয়েছিল তার আশেপাশেই দু’টি চিতাবাঘ ঘোরাফেরা করছিল। কোনও কারণে ভয়ে কেউ দরজা খুললেই বড় বিপদ হতে পারত।’’ পর্যটকদের অনেকেই জানিয়েছেন, বারবার বলার পরেও উদ্ধারকারী দল না আসায় গাড়ির চালকও একসময় রেগে গিয়ে বেঙ্গল সাফারির কর্মীদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। জঙ্গলের বাইরে আসার পরে পর্যটকরা আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে সাফারিতে যান ডিরেক্টর ধর্মদেও রাই। তাঁকেও ক্ষোভের কথা জানান পর্যটকরা।

Advertisement

পর্যটক অজয়কুমার ভগত বলেন, ‘‘ডিরেক্টর আমাদের কাছে দুখঃপ্রকাশ করেন এবং টিকিটের অর্থ ফেরত দিতে চান। গাড়ি করে আমাদের বাড়িতেও পৌঁছে দিতে চান। আমরা সেই সুবিধা নিইনি। গোটা ঘটনা লিখিতভাবে বন দফতর ও চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব।’’ ধর্মদেও রাই বলেন, ‘‘পর্যটকদের উদ্ধারে নির্দিষ্ট প্রোটোকল আছে। সেটা মেনেই উদ্ধার করা হয়েছে। যান্ত্রিক কারণে কখন গাড়ি খারাপ হবে সেটা বলা মুশকিল। পর্যটকদের কোনওরকম ক্ষতি হয়নি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement