রোদ ঝলমলে আকাশ দার্জিলিঙে। ফাইল চিত্র।
গত ডিসেম্বরের শেষ দিনে তুষারপাত দেখেছিল দার্জিলিং। তার পর থেকে পর্যটকদের হাপিত্যেশ শুরু হয়েছে। ভিড় জমাচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু তুষারের দেখা নেই দার্জিলিঙে। রবিবারের মতো সোমবার রোদ ঝলমলে আকাশ দেখা গেল শৈলশহরে। তবে বেলা বাড়তেই কিছুটা বদল হচ্ছে আবহাওয়ার।
গত বছরের শেষে দার্জিলিঙের সান্দাকফু, ফালুট-সহ বিভিন্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি তুষারপাত দেখা গিয়েছিল। তার পর থেকেই পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে দার্জিলিং। কিন্তু রবিবার থেকে সকাল হতেই মেঘমুক্ত, রোদ ঝলমলে আকাশ দেখা যাচ্ছে সেখানে৷ জোরে বইছে বাতাসও৷ তুষারপাতের দেখা না পেলেও, শীতের রোদকে উপভোগ করতে দেখা যাচ্ছে পর্যটকদের।
দার্জিলিঙের সৌন্দর্য দেখতে ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের। নিজস্ব চিত্র।
নববর্ষে এখন উৎসবের মেজাজেই রয়েছে দার্জিলিং। নানা অনুষ্ঠান চলছে শহর জুড়ে। তবে তুষারপাত নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে পর্যটকদের মধ্যে। দার্জিলিং ঘুরতে গিয়েছেন কলকাতার বাসিন্দা শ্যামল মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘অনেক বার দার্জিলিং এসেছি। এখন এই শহর অনেকটা বদলে গিয়েছে। তবুও বার বার এই পাহাড়ই টানে আমায়। শুনেছি, এখানে ৩১ ডিসেম্বর তুষারপাত হয়েছে। সেই আশাতে আমরাও রয়েছি। কোনও রকম আভাস পেলেই সান্দাকফুর উদ্দেশে রওনা দেব।’’
শ্যামলের মতো সোনালি সরখেল নামে আরও এক পর্যটক যেমন বলেন, ‘‘আমাদের মতো বহু পর্যটক রয়েছেন, যাঁরা তুষারপাত উপভোগ করবেন বলে দার্জিলিঙে রয়ে গিয়েছেন। গত বার ঘুমে তুষারপাত হয়েছিল। এ বারও যদি তেমন কিছু হয়, সেই আশাতেই আছি।’’ তবে গত বছরের শেষে তুষারপাতের পর থেকে বুকিং বাড়ছে দার্জিলিঙে। বিশেষ করে সান্দাকফু, ফালুটের মতো জায়গায় হোটেল বা হোম স্টে মেলা দায় হয়ে উঠছে। এমনটাই জানা গিয়েছে সেখানকার হোটেল ব্যবসায়ীদের সূত্রে।