বগটুইকাণ্ডে নাম জড়াল অনুব্রত মণ্ডলের। —ফাইল চিত্র।
বগটুইকাণ্ডে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের যোগ রয়েছে। আদালতে হলফনামা পেশ করে জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)। তদন্তকারীদের দাবি, বগটুইয়ের ঘটনার রাতে মূল অভিযুক্ত আনারুল হকের সঙ্গে ফোনে কথা হয় অনুব্রতের।
সোমবার আদালতে সিবিআই দাবি করে গত বছরের ২১ মার্চ রাত ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ আনারুলের সঙ্গে ফোনে কথা হয় অনুব্রতের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ঘটনার পরের দিনও দু’জনের ফোনে কথা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার গরুপাচার মামলায় অনুব্রতের জামিনের মামলার শুনানি রয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। তার আগে তৃণমূল নেতার জামিনের বিরোধিতা করে হলফনামায় বগটুই ঘটনার উল্লেখ করল সিবিআই।
গত বছরের ২১ মার্চ বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের পর একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। জীবন্ত পুড়ে মৃত্যু হয় ১০ জনের। এর পর ওই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআইকে। তদন্তভার নেওয়ার প্রায় তিন মাসের মধ্যে গত সোমবার ভাদু-খুন মামলা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মুখবন্ধ খামে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। তাতে আনারুলের নাম উঠে আসে মূল অভিযুক্ত হিসেবে। আনারুলের বিরুদ্ধে ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। যার অর্থ, অপরাধে সাহায্য এবং প্ররোচনা দেওয়া। তবে আনারুলের দাবি, তিনি নির্দোষ। জেল যাওয়ার আগে আনারুল বলেছিলেন, সময় এলে তিনি ‘সবার’ নাম বলবেন। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর দাবি ছিল, ‘‘ঘটনাস্থল থেকে আমার বাড়ি পাঁচ কিলোমিটার দূরে। এর মধ্যে চক্রান্ত রয়েছে। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। সময় এলে সবার নাম বলব।’’
অন্য দিকে, কিছু দিন আগে বগটুইকাণ্ডের আর এক অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যু হয় সিবিআই হেফাজতে। ওই মৃত্যুর জন্য তাঁর পরিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দিকেই আঙুল তুলেছে। এ নিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে শোরগোলের মধ্যেই লালনের মৃত্যুর কারণ হিসাবে ‘সিবিআইয়ের গাফিলতি’কেই দায়ী করেন ওই আনারুল। অন্য দিকে, গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই এবং পরে ইডির হেফাজতে থাকা অনুব্রতের নাম জড়াল বগটুইকাণ্ডেও। সিবিআইয়ের দাবি তেমনই।
মঙ্গলবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে অনুব্রতের জামিনের মামলার শুনানি রয়েছে।