—নিজস্ব চিত্র।
বাড়ির সদর দরজার সামনে বেআইনি ভাবে নির্মাণকাজ শুরু করিয়েছেন শাসকদলের দুই কর্মী। তাতে বাড়ির ঢোকা-বেরোনোর পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তবে এ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করায় সুরাহা হয়নি। উল্টে তাঁদেরই বেধড়ক মারধর করে থানা থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি, তাঁকে সপরিবার গ্রামছাড়া করেছেন ওই তৃণমূল কর্মীরা। সোমবার এমনই দাবি করলেন মালদহের এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।
মালদহের ইংরেজবাজার থানার শোভানগর এলাকার বাসিন্দা গোলাম রব্বানী বেশ কয়েক বছর আগে শিক্ষকতা থেকে অবসর নিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, বাড়ির সামনে বেআইনি ভাবে নির্মাণকাজ শুরু করিয়েছেন এলাকার দুই মাতব্বর তথা তৃণমূল কর্মী হাবিয়ে কিবরিয়া এবং গোলাম আলি। যার ফলে তাঁর বাড়ির প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই নির্মাণকাজে বহু বার আপত্তি জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু কর্ণপাত করেননি হাবিয়েরা। কিছু দিন আগে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগও করেন গোলাম। এর পরেই দলবল নিয়ে তাঁর উপর চড়াও হন হাবিয়েরা। থানায় অভিযোগ জানানোর জন্য তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের লোকজনকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ গোলামের। এর পর তাঁদের গ্রামছাড়া করেন বলে দাবি।
দিন কয়েক আগে গোটা বিষয়টি জানিয়ে আবার ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ করেছেন অবসরপ্রাপ্ত এই শিক্ষক। তাঁর দাবি, তাঁকে সুরক্ষা দেওয়ার বদলে অভিযুক্তদের মদত করছে পুলিশ। শাসকদল তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্যই পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ। যদিও জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসুর দাবি, ‘‘আমাদের দল এমন কাজ সমর্থন করে না। আইন আইনের পথেই চলবে।’’ তবে গোটা বিষয়ে শাসকদলকে বিঁধেছেন দক্ষিণ মালদহ বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি। তাঁর পাল্টা দাবি, ‘‘পুলিশের মেরুদণ্ড সোজা নেই। তাই এ রাজ্যে আইনের শাসনও নেই। ফলে অভিযুক্তেরা গ্রামে মাতব্বরি করছেন।’’