বারুইপুর আদালতের পথে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। সেখানেই পুলিশের সঙ্গে খানিক তর্কাতর্কি হয় তাঁর। —নিজস্ব চিত্র।
ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি গত ২১ জানুয়ারি থেকে জেলবন্দি। একাধিক বার তাঁর জামিন খারিজ হয়েছে। সোমবার নওশাদকে যখন বারুইপুর আদালতে হাজির করানো হয়, তখন আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের ভিড় তাঁকে ঘিরে ধরে। এ সব দেখে পুলিশভ্যান থেকে নওশাদকে তড়িঘড়ি নামিয়ে আদালত কক্ষে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। সে সময় এক পুলিশকর্মীর ব্যবহারে ক্ষুন্ন নওশাদ। সোজা ওই পুলিশকর্মীকে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘পার্থ’দা হলে এটা করতে পারতেন?’’ পর ক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন নওশাদ। পুলিশি ঘেরাটোপে হাসতে হাসতেই ঢুকে যান আদালতে।
৪ দিনের পুলিশ হেফাজত শেষে সোমবার আবার আইএসএফ বিধায়কক বারুইপুর আদালতে হাজির করানো হয়। এ বার কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় তাঁকে বারুইপুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের গাড়ি থেকে নামার আগে দলীয় কর্মী-সমর্থক এবং সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা নানা প্রশ্ন করছিলেন নওশাদকে। তিনিও উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেন। হাত নাড়তে নাড়তে তিনি গাড়ি থেকে নামছিলেন, এমন সময়ে এক পুলিশকর্মী ওই বিধায়কের হাত ধরে টেনে নামাতে যান। যা নিয়ে জিজ্ঞাসু চোখে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর প্রসঙ্গ টানেন নওশাদ। পাল্টা ওই পুলিশকর্মীও কিছু বলতে চান। কিন্তু নওশাদের কর্মী-সমর্থকদের কোলাহলে তা স্পষ্ট করে শোনা যায়নি। এর পর গাড়ি থেকে নেমে আসেন আইএসএফ বিধায়ক। উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের কর্মী এবং দলের কর্মী-সমর্থকদের কাছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট ম্যাচের ‘আপডেট’ জানতে চান। বলেন, ‘স্কোর কত?’
গত ২১ জানুয়ারি আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসে ধর্মতলার সভা থেকে গ্রেফতার হন নওশাদ। ওই দিন পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীসমর্থকদের খণ্ডযুদ্ধে দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন আহত হন। গ্রেফতার হন বেশ কয়েক জন আইএসএফ নেতা। তার পর থেকে জেলেই রয়েছেন নওশাদ।