প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত ভোটের দিন কোচবিহারের শীতলখুচিতে বোমার আঘাতে জখম হয়েছিলেন এক তৃণমূল কর্মী। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, লতিফ মিঞা নামে ওই কর্মী মারা গিয়েছেন। গত শনিবার শীতলখুচির ৫/২২৩ বুথের তৃণমূল কর্মী লতিফ বোমাবাজিতে জখম হন। রবিবার তাঁকে কোচবিহার থেকে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত বর্মা বলেন, ‘‘ভোটের দিন বোমার আঘাতে লতিফ মিঞা এবং এক তরুণী জখম হয়েছিলেন। তাঁদের প্রথমে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তরুণীকে। লতিফ মিঞাকে স্থানান্তরিত করা হয় কোচবিহার হাসপাতালে। সেখান থেকে গত ৯ জুলাই, রবিবার শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, ভোটের দিন মধ্য শীতলখুচির ৫/২২৩ বুথে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল বিজেপি এবং তৃণমূল। সেই সময়েই বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। তৃণমূলের দাবি, বিজেপির লোকেরা ভোট লুট করছিলেন। তৃণমূল কর্মীরা বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। তাঁদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়েন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। তাতেই জখম হন লতিফ। পাল্টা বিজেপির দাবি, মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। বিজেপি কোথাও বোমাবাজি করেনি। তৃণমূলের লোকেরাই বোমা ছুড়ছিলেন। তাতেই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। পদ্ম শিবিরের প্রশ্ন, যদি ভোটের দিন বিজেপি বোমাবাজি করে থাকে, তা হলে এত দিন পর কেন বলছে শাসকদল?
তৃণমূল মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘আমার কাছে খবর আছে, ভোটের দিন বিজেপির দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করছিল। তাতেই আমাদের দলের কর্মী লতিফ মিঞা আক্রান্ত হন। শিলিগুড়ির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর মৃত্যু হয়। ভোটের সময় সব চেয়ে বেশি মারা গিয়েছে তৃণমূল কর্মীরাই। এটা দুর্ভাগ্যজনক। বিরোধীরা আক্রশ থেকে এ সব করেছে।’’
পাল্টা বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘আমরা প্রথম থেকেই বলছি, বোমাবাজিতে মারা গিয়েছে। কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্ব বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর কথা বলছিলেন। এখন ওঁরা বোমাবাজির কথা বলে বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন।’’