শুভেন্দুকে গ্রেফতারির দাবিতে তৃণমূলের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
শুভেন্দু অধিকারী কোচবিহার শহরে ঢোকার আগেই তাঁর গ্রেফতারির দাবিতে পথে নামল তৃণমূল। সোমবার বিকেলে কোচবিহার শহরে ঢোকার রাস্তায় খাগড়াবাড়ি চৌপতিতে টায়ার জ্বালিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার গ্রেফতারের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
শুভেন্দুর মিছিলের আগে বিভিন্ন এলাকায় পথ অবরোধ এবং বিক্ষোভের জেরে জেলা সদর তৈরি হয় চাপা উত্তেজনা। জেলার অন্য এলাকাতেও সারদা, নারদ-সহ নানা দুর্নীতি মামলায় শুভেন্দুর গ্রেফতারির দাবিতে সোমবার বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে তৃণমূল। পাশাপাশি, অভিযোগ তোলা হয়েছে শুভেন্দুর মিছিলে অসম থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে গুন্ডাবাহিনী। উত্তেজনার আবহেই সোমবার বিকেলে কোচবিহার শহরের বিশ্বসিংহ রোডের ঘাসবাজারে সভা করেন শুভেন্দু।
তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের বক্সীরহাট এলাকায় শুভেন্দুকে গ্রেপ্তারের দাবিতে কালো পতাকা হাতে নিয়ে মিছিল এবং জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা। তুফানগঞ্জ-২ ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুরেশ বর্মন বলেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী অশান্তি ছড়াতে কোচবিহারে রাসছেন। সকাল থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে বহু গাড়িতে করে আসাম থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কোচবিহার শহরে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। কোচবিহার শহরে কোনরকম অশান্তি ছড়ালে তৃণমূল বসে থাকবে না’’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিধাননগরের এমপি-এমএলএ কোর্টে হাজিরা দিতে এসেছিলেন সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন। হাজিরা শেষে আদালত থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি যা বলেছেন, সাংবাদিক বৈঠকে তার ভিডিয়ো তুলে ধরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার গ্রেফতারির দাবি জানায় শাসকদল। তৃণমূলের দাবি, আদালতে চিঠি দিয়ে সুদীপ্ত জানিয়েছেন, তাঁকে ‘ব্ল্যাকমেল’ করে টাকা নিতেন শুভেন্দু। শনিবার প্রকাশিত তৃণমূলের কর্মসূচিতে সরাসরি সারদা-কাণ্ডের নাম বলা হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, শুভেন্দুর দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবিতে তাঁরা রাস্তায় নামবেন। মমতা ও সুদীপ্তর অভিযোগকে হাতিয়ার করেই নন্দীগ্রাম বিধায়কের বিরুদ্ধে সুর চড়াবেন তৃণমূল নেতারা।