গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
উদ্ধব ঠাকরের দাবি মেনে, একনাথ শিন্ডে-সহ ১৬ জন বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ককে নোটিস পাঠিয়ে মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ সম্পর্কে আত্মপক্ষ সাফাইয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার (ভারপ্রাপ্ত স্পিকার) নরহরি সীতারাম জিরওয়াল। কিন্তু সোমবার সুপ্রিম কোর্টে জিরেওয়ালের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শিন্ডেদের আইনজীবী এনকে কল বলেন, ‘‘ডেপুটি স্পিকারের বিরুদ্ধে একটি অনাস্থা প্রস্তাব ইতিমধ্যেই বিধানসভায় জমা পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে তিনি কী ভাবে দলত্যাগবিরোধী আইনে ১৬ জন বিধায়কের পদ খারিজের দাবির আবেদনের শুনানি করতে পারেন?’’
কলের বক্তব্যের জবাবে জিরেওয়ালের আইনজীবী রাজীব ধওয়ন বলেন, ‘‘ভারপ্রাপ্ত স্পিকার সেই অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন।’’ তাঁর ওই যুক্তি শুনে বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, ‘‘ডেপুটি স্পিকার কি নিজেই তাঁর বিরুদ্ধে আনা অপসারণের প্রস্তাবের বিচারক হতে পারেন?’’ শিন্ডেদের মঙ্গলবারের মধ্যে দলবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগের ব্যাখ্যা চেয়ে ডেপুটি স্পিকার যে নোটিস পাঠিয়েছিলেন, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট তার সময়সীমা আগামী ১২ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারি মাসে নানা পাটোলে স্পিকার পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পর থেকে অস্থায়ী ভাবে মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন এনসিপি বিধায়ক জিরওয়াল। তাঁর বিরুদ্ধ পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ তুলেছে শিন্ডে শিবির। এই পরিস্থিতিতে শিন্ডে-সহ ১৬ জন শিবসেনা বিধায়কের বিরুদ্ধে কেন দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে নোটিস পাঠানো হয়েছিল, সে বিষয়ে ডেপুটি স্পিকার (ভারপ্রাপ্ত স্পিকার) জিরওয়ালের জবাবও চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বিদ্রোহীর বিধায়কদের জবাবদিহির জন্য বাড়তি সময় দেওয়ার পাশাপাশি, বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি জে বি পাড়িয়ালার ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার বিদ্রোহী বিধায়কদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকারকে। আগামী ১১ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।