ভক্তিভরে: মদনমোহন মন্দিরে উদয়ন গুহ ও পার্থপ্রতিম রায়। নিজস্ব চিত্র ।
মুখ্যমন্ত্রীর নামে মদনমোহন মন্দির ও শিবযজ্ঞে পুজো দিলেন দিনহাটা উপনির্বাচনে সদ্য জয়ী তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহ। তাঁর পরিবারের সদস্যেরা ছাড়াও সঙ্গে ছিলেন জেলার দুই তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিম রায় ও আব্দুল জলিল আহমেদ। উদয়ন এ বার দিনহাটা থেকে রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়েছেন। এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। ঠিক হয় দুই মন্দিরে পুজো দেবেন উদয়ন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাকে জানিয়েছেন তাঁর নামে পুজো দিতে। দুই মন্দিরেই পুজো দিলাম।” কী প্রার্থনা করলেন, “মানুষের মঙ্গল কামনা করেছি। সেই সঙ্গে বাংলা যাতে আগামীদিনে দেশকে পথ দেখায়, সে প্রার্থনা করেছি।”
দিনহাটা উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীকে ১ লক্ষ ৬৪ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত করেন উদয়ন। তাঁর জয়ের ব্যবধান রেকর্ড গড়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, উদয়নের ফলে খুশি মমতা। তাঁকে অভিনন্দনও জানান। ভোটের আগে কোচবিহারে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, উদয়ন জিতলে দিনহাটা হবে কোচবিহারের উন্নয়নের চালিকাশক্তি। স্বাভাবিক ভাবেই দলীয় মহলে চর্চা রয়েছে, এ বার উদয়নকে মন্ত্রী করা হতে পারে। উদয়ন বলেন, “কাকে মন্ত্রী করা হবে তা মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়।” তিনি জানান, দিনহাটাকে ঘিরে তাঁর নানা রকম উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে। সেই লক্ষ্যেই তিনি এগিয়ে যেতে চান। এর পাশাপাশি, সাংগঠনিক স্তরেও উদয়নের গুরুত্ব আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে তৃণমূল। অথচ তৃণমূলের শুরু থেকে কোচবিহারে ভাল সংগঠন তৈরি হয়েছিল। সেখানে বিধানসভায় কোচবিহারের ৯টির মধ্যে ৭টি আসনে জয়ী হয় বিজেপি। দিনহাটায় উদয়নকে ৫৭ ভোটে হারিয়ে দেন বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক। নিশীথ কোচবিহারের সাংসদ। তাই বিধানসভায় জয়ী হয়ে পদত্যাগ করেন। স্বাভাবিক উপনির্বাচনে ওই আসন ছিল তৃণমূলের কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ। দলীয় স্তরে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছিলেন, ওই আসনে রেকর্ড ব্যবধানে জিতেই উত্তরবঙ্গের ওই তিন জেলা পুনরুদ্ধারের পথে এগিয়ে যেতে চান তাঁরা। শেষে সবাইকে অবাক করে দিয়ে রেকর্ড ব্যবধানে জয়ী হন তিনি। তাঁর সফলতায় খুশি দলনেত্রী। তিনি কোচবিহারে এসে একাধিক বার মদনমোহন মন্দির ও শিবযজ্ঞে যান। ওই দুই মন্দিরেই পুজো দেওয়া হয়।