বিরিয়ানির দোকানে হানা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের। — নিজস্ব চিত্র।
শহর জুড়ে ছড়িয়ে থাকা খাবারের দোকান থেকে বিরিয়ানি খেলে কমে যেতে পারে পুরুষত্ব। এমন গুরুতর অভিযোগ পেয়ে কোচবিহার শহরের খাবারের দোকানগুলিতে অভিযান চালালেন পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। ধমক দিয়ে একটি বিরিয়ানির দোকান বন্ধও করে দিয়েছেন তিনি। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলেও আনন্দবাজার অনলাইনকে ফোনে জানিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ।
শনিবার কোচবিহার শহরের পাওয়ার হাউস মোড় এলাকায় একটি বিরিয়ানির দোকানে হানা দেন রবীন্দ্রনাথ। বিরিয়ানির দোকানটি বন্ধ করে দেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘অনেক দিন আগে থেকেই অভিযোগ আসছিল, শনি মন্দিরের সামনে কয়েকটি বিরিয়ানির দোকান অবৈধ ভাবে ব্যবসা চালাচ্ছে। ওরা রাস্তা দখল করেছে। প্রতি দিন নতুন নতুন লোক বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে আসেন। তারা কারা সেটা জানা যায় না। সারা রাত মদ খেয়ে এখানে গন্ডগোল করা হয়। এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়। থানাতেও জানিয়েছি বিষয়টা।’’
এর পর রবীন্দ্রনাথের সংযোজন, ‘‘ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই এরা দোকানদারি করছে বেআইনি ভাবে। যে মশলা দেওয়া হচ্ছে তা নিয়েও মানুষের অভিযোগ রয়েছে। এই মশলা দেওয়া বিরিয়ানি খেলে পুরুষত্ব কমে যায়। সুতরাং নানা রকম অভিযোগ আসছে অনেক দিন থেকে। তাই আজকে আমরা এসেছি। এসে দেখছি, যে শেড দেওয়া হয়েছে তা রাস্তার দিকে। রাস্তায় রান্নাবান্না করা হচ্ছে।’’
এখানেই থামেননি রবীন্দ্রনাথ। বিষয়টি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি ফোনে বলেন, ‘‘ওদের কোনও কাগজপত্র নেই । ফায়ার লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স এবং ফুড লাইসেন্স নেই। কোনও কাগজপত্রই নেই ওদের। ওরা খাবারে কী রং দেয়, তাতে ক্ষতি হয় কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে। খাদ্য দফতরকে বলতে হবে পরীক্ষা করার জন্য। আরও কতগুলি চলছে, ওগুলিও বন্ধ করে দেব। কোনও অনুমতি নেই ওদের। পুরসভা অভিযান চালাবে। খাবারের সঙ্গে কোনও আপোস করা হবে না। কারণ খাবারে কী মশলা দিচ্ছে, কী খাবার দিচ্ছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। অনেকে অভিযোগ করেছেন, খাবারে যা মশলা দেওয়া হয় তাতে পুরুষত্ব নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই খাবারের মান যাচাই করা হবে।’’