Digital Rape

ডিজিটাল ধর্ষণ বেড়েই চলেছে, শিকার ছোটরা, কী ভাবে সতর্ক থাকা যায়, কেন বিপজ্জনক?

‘ডিজিটাল’ ধর্ষণ ভারতের ক্ষেত্রে অনেকটাই নতুন আইন। ২০১২ সালের আগে এর অস্তিত্বই ছিল না। ইদানীং বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে অভিযুক্ত সাজা পেয়েছেন। সতর্কতা বাড়ায় অভিযোগের সংখ্যাও বাড়ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২২ ১২:৩১
Share:

সতর্কতাই রক্ষা করতে পারে ছোটদের। প্রতীকী ছবি।

নামটা শুনলেই প্রথমে মনে প্রশ্ন আসে কোনও ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমেই কি এই ধর্ষণ? অনেকেরই জানা নেই উত্তর। আসলে এই নির্যাতনের সঙ্গে কোনও ভাবেই মোবাইল ফোন কিংবা কম্পিউটারের সম্পর্ক নেই। এক ধরনের বিকৃত মানসিকতাকেই বলা হয়ে ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’। সতর্ক থাকার জন্য সবার আগে জানা দরকার কেমন এই অপরাধ।

Advertisement

গত মে মাসেই উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় ডিজিটাল ধর্ষণের অভিযোগে ৮০ বছরের এক চিত্রশিল্পীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১৭ বছরের নির্যাতিতার অভিযোগ ছিল, গত সাত বছর ধরে তাকে যৌন হেনস্থা করে আসছেন অভিযুক্ত।

যৌনতার উদ্দেশ্যে জোর করে কোনও ব্যক্তির যোনি, পায়ু, কান বা নাকে হাত বা পায়ের আঙুল প্রবেশ করানোকেই বলা হচ্ছে ডিজিটাল ধর্ষণ। ইংরেজিতে ‘ডিজিট’ শব্দের আর একটি অর্থ হল, হাত বা পায়ের আঙুল। এই অপরাধ যে হেতু আঙুলের মাধ্যমেই হয়ে থাকে তাই এমন নাম। ২০১৩ সালের আগে পর্যন্ত ডিজিটাল ধর্ষণ আইনের চোখে ধর্ষণের আওতায় পড়েনি। দিল্লির নির্ভয়া মামলার প্রেক্ষিতে ধর্ষণের অপরাধ সংক্রান্ত আইনে ডিজিটাল ধর্ষণ অন্তর্ভুক্ত হয়। তার আগে পর্যন্ত একমাত্র জোর করে সঙ্গমকেই ধর্ষণ বলা হত। ডিজিটাল ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনের ৫ ও ৬ ধারায় মামলা করা যায়। এই অপরাধে কেউ দোষী হলে ২০ বছর পর্যন্ত কারাবাসের সাজা ছাড়াও ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের নিয়ম রয়েছে।

Advertisement

নয়ডার ঘটনায় পরে পুলিশ জানিয়েছিল, একটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করত ১৭ বছরের ওই নাবালিকা। অভিযুক্ত বাড়ির মালিকের বন্ধু অভিযুক্ত। তিনি আবার স্কেচ আর্টিস্ট ও শিক্ষক। ওই বাড়িতে তাঁর যাতায়াত লেগেই থাকত। নির্যাতিতা পুলিশকে জানায়, ১০ বছর বয়স থেকে তাকে একা পেলেই অভিযুক্ত যৌনলালসা মেটাতেন। ভয়ে সে কাউকে কিছু বলতে পারেনি। কিন্তু এক দিন সাহস করে ঘটনার ভিডিয়ো করে সে। অভিযোগ জানানোর সময়ে ওই ভিডিয়ো পুলিশের হাতে তুলে দেয় নাবালিকা।

এই রাজ্যেও এমন অভিযুক্তের খোঁজ মিলেছে গত সেপ্টেম্বরে। মালদহের বাসিন্দা ৬৫ বছরের সেই প্রৌঢ়কে দোষী সাব্যস্ত করে নয়ডার আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। অভিযোগে জানা যায়, আকবর আলি নামে মালদহের ওই বাসিন্দা ২০১৯ সালে নয়ডার সেক্টর ২৯-এর সালারপুর গ্রামে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানেই মেয়ের প্ৰতিবেশীর তিন বছর বয়সি শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করেন। লজেন্সের লোভ দেখিয়ে ফাঁকা বাড়িতে শিশুটিকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। শিশুটি যন্ত্রণায় কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে অভিভাবকদের জানায়। এর পরে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ পকসো আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ এবং ৩৭৬ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement