West Bengal Panchayat Election 2023

ভোটে টিকিট না পেয়ে বিধায়ক শাশুড়িকে দায়ী করলেন জামাই! ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টায় তৃণমূল

তৃণমূল নেতা জানান, তিনি জেলা পরিষদের প্রার্থী না হওয়ার ফলে তাঁর অনুগামীরা যাঁরা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রার্থী হয়েছেন, তাঁরা প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নিতে চাইছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

মানিকচক (মালদহ) শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২৩ ১০:৩৭
Share:

(বাঁ দিক থেকে) তৃণমূল নেতা সোমদীপ সরকার এবং তাঁর শাশুড়ি তথা বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। —ফাইল চিত্র।

শাশুড়ি এবং জামাতার রাজনৈতিক বিবাদে সরগরম মালদহের মানিকচকের রাজনীতি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদহ জেলা পরিষদের ২৮ নম্বর আসনে তৃণমূলের ‘সম্ভাব্য প্রার্থী’ ছিলেন মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের জামাতা সোমদীপ সরকার। কিন্তু তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই দেখা যায়, ওই আসনে প্রার্থী করা হয়েছে মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি কবিতা মণ্ডলকে। এর পরই বিধায়ক শাশুড়ির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতা সোমদীপ। তাঁর অভিযোগ, তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। অন্য দিকে, জামাইয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি বিধায়ক সাবিত্রী।

Advertisement

তৃণমূলের মালদহ জেলার সাধারণ সম্পাদক সোমদীপ। তাঁর শাশুড়ি সাবিত্রী মানিকচকের বিধায়ক। সোমদীপের দাবি, দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে তৃণমূলের কর্মী হিসেবে সক্রিয় ভাবে রাজনীতি করছেন। এক বছর আগেও মানিকচক বিধানসভার জেলা পরিষদের ২৮ নম্বর আসনের ৪টি অঞ্চলে বুথ কমিটি গঠন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তিনি যুক্ত রয়েছেন। তিনিই জেলা পরিষদের ২৮ নম্বর আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার মূল দাবিদার ছিলেন। কিন্তু বিধায়ক শাশুড়ির সঙ্গে তাঁর পারিবারিক বিবাদের ফলে তাঁকে প্রার্থী করা হয়নি।

সোমদীপের কথায়, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে গত এক বছর ধরে আমাদের চারটি অঞ্চলে পড়ে থেকেছি। পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থিতালিকার এক বারে শেষ দিনে গিয়ে জানতে পারলাম যে আমার নাম নেই। এক কথায়, আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। বিধায়ক এবং জেলা সভাপতি (তৃণমূলের) আমার নাম বাদ দিয়েছে।’’ তৃণমূল নেতা আরও বলেন, ‘‘কেন টিকিট পাইনি, জানি। তবে তৃণমূলের এক জন সৈনিক হিসেবে দলে থাকব।’’

Advertisement

সোমদীপ জানান, তিনি জেলা পরিষদের প্রার্থী না হওয়ার ফলে তাঁর অনুগামীরা যাঁরা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রার্থী হয়েছেন, তাঁরা প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নিতে চাইছেন। কিন্তু তিনি তৃণমূলের সৈনিক হিসেবে তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন। এ নিয়ে মানিকচকের বিধায়ককে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। শাশুড়ি-জামাতার ‘গৃহযুদ্ধ’ নিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতিও মুখে কুলুপ এঁটেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement