দখলমুক্ত করার পর সেই জমিটি। — নিজস্ব চিত্র।
সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে অভিযানে নামল জলপাইগুড়ি ব্লক প্রশাসন। মঙ্গলবার রাজগঞ্জ ব্লকের গজলডোবার কাছে ঝুলন্ত সেতুর পাশে কয়েক বিঘা সরকারি জমি দখলমুক্ত করে সেখানে ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণ, ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক (বিএলআরও) সুখেন রায় এবং অন্য আধিকারিকেরা। জমিটি দখলের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতা তথা শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রঞ্জন শীল শর্মার বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগ নস্যাৎ করছেন রঞ্জন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরে রাজ্যের একাধিক জায়গায় সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন। সেই মতো কয়েক দিন আগে রাজগঞ্জ ব্লক প্রশাসন গজলডোবা এলাকার বেশ কিছু সরকারি জমি চিহ্নিত করে। তখনই রঞ্জনের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ ওঠে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জমি বাবদ আমি কর দিয়েছি৷ আজকে সরকার এই জমি নিজেদের অধীনে নিয়ে নিয়েছে। ১৯৮৭ সালে সরকারি আধিকারিকদের উপস্থিতিতে জমির সত্ত্ব নিয়েছিলাম। ওই এলাকায় কয়েক’শো হেক্টর জমি রয়েছে। সেই সব জমি দখল করে হোটেল-সহ বেশ কিছু নির্মাণ হয়েছে৷ আমার ওখানে মাছ চাষ ছাড়া আর কিছু হয় না।”
বিএলআরও বলেন, “আমাদের কাছে অনেক দিন আগে থেকেই অভিযোগ ছিল। মঙ্গলবার গজলডোবা সংলগ্ন এলাকায় ৩৩টি জমি চিহ্নিত করে সেখানে সরকারি বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়। গোটা ব্লক জুড়েই এই অভিযান চলেছে। ব্লকে যে সব অঞ্চলে সরকারি জমি দখল করা হয়েছে সেগুলি দ্রুত দখলমুক্ত করা হবে।”