তৃণমূল কর্মীদের একাংশকে হুঁশিয়ারি বিধায়কের। ফাইল চিত্র।
দিনহাটার বড় শাকদল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কেন্দ্রীয় সরকারের ‘জনবিরোধী নীতি’র বিরুদ্ধে আয়োজিত জনসভা থেকে দলেরই কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। সাধারণ মানুষকে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য ‘ঘুষ’ নিলে কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করবে দল। প্রয়োজনে দল থেকেও বহিষ্কার করা হবে। এমনই মন্তব্য করলেন দিনহাটার বিধায়ক। তিনি এও বলেন, ‘‘আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ জয়লাভ করতে পারবে না। নির্বাচন হবে সুষ্ঠু ভাবে। যারা মানুষের কাজ না করে পকেট ভরার চেষ্টা করবে, নির্বাচনে আর তারা টিকিট পাবে না।’’
এক দিকে যেমন দলের নিচুতলার কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিলেন উদয়ন, তেমনি বিগত দিনের ভুলত্রুটি স্বীকার করে নিয়ে জনসভার মঞ্চ থেকে সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমাও চাইলেন তিনি। এ যেন অন্য উদয়ন! গত লোকসভা নির্বাচনের পর গত বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহারে জনসমর্থন হারিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। পরে উপনির্বাচনে দিনহাটা থেকে অবশ্য উদয়ন রেকর্ড ভোটে জয়লাভ করেন। তবে পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে নিজেদের ‘ভুল’ শুধরে নেওয়ার কথা বলছেন উদয়ন। পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের পাশে থাকার জন্য অনুরোধ জানান উদয়ন।
বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-র কটাক্ষ, ‘‘যিনি কিছুদিন পূর্বে পুরসভা ভোটের আগে দুয়ারে প্রহার প্রকল্প চালু করেছিলেন, তার নমুনাও আমরা দেখেছি দিনহাটা পুরভোটে। বিরোধীশূন্য করে বোর্ড দখল করেন উদয়নরা। আজ তাঁর মুখে এ সব কথা হাস্যকর। বিধানসভা ভোটের সময় আমি নিজে আক্রান্ত হয়েছি। তা ছাড়া দুর্নীতি, কাটমানির সঙ্গে জড়িতরা হঠাৎ করে সাধু সাজতে চাইছেন।’’ এর পর নিখিলরঞ্জনের খোঁচা, ‘‘এ সব বলে আসলে নিজের মনোনীত লোককে প্রার্থী করতে চান উদয়ন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত তৃণমূল।’’