নৌকোডুবির পরে উদ্ধার দেহ।
মাঝ নদীতে উল্টে গেল যাত্রী বোঝাই নৌকো। মালদহের চাঁচলের জগন্নাথপুরঘাটে বৃহস্পতিবার রাতে মহনন্দা নদীতে ওই নৌকোয় ৪০ থেকে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। তাঁদের মধ্যে এক প্রৌঢ় ও দুই মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় এখনও উদ্ধার করা যায়নি। সাঁতরে কোনও রকমে পাড়ে উঠেছেন ১২ জন যাত্রী। কিন্তু বাকিদের এখনও হদিশ নেই। রাতে এলাকায় পৌঁছে যান জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘এনডিআরএফ এলাকায় পৌঁচেছে।’’
উত্তর দিনাজপুরের মুকুন্দপুরে মেলা রয়েছে। তা দেখতে যেতেই এ দিন নৌকো ভরে বহু মানুষ উঠেছিলেন। যাত্রীর চাপেই মাঝ মহানন্দায় নৌকোয় জল ঢুকে পড়ে তা উল্টে যায় বলে সূত্রের খবর।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে খবর, চাঁচল থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে জগন্নাথপুর। নদীর ও পারে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ব্লকের মুকুন্দপুর এলাকা। ওপারে এক দিকে আবার বিহারের কিছু এলাকা রয়েছে। পাশাপাশি জগন্নাথপুর ঘাটের এ পারেও রয়েছে বিহারের কিছু এলাকা। ও পারে মুকুন্দপুরঘাটে গ্রামবাসীর তরফে এ দিন নৌকো বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই উপলক্ষে এলাকায় মেলাও বসেছিল। সেই নৌকো বাইচ ও মেলা দেখতে গিয়েছিলেন চাঁচল ও বিহারের বাসিন্দাদের অনেকেই।
তবে ওই পথে নৌকোয় নিয়মিত যাতায়াত করেন অনেকেই। গরমের সময় নদীতে জল কম থাকায় কয়েক মাস বাঁশের মাচা থাকে। তা দিয়েই পারাপার করেন বাসিন্দারা। এখন ভরা নদী। রাতে নৌকোয় এক সঙ্গে প্রচুর যাত্রী উঠে পড়েন বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর। নৌকোয় বেশ কয়েকটি মোটরবাইক, সাইকেলও ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। ওই নৌকোয় ছোট একটি ইঞ্জিন রয়েছে। তা চালানোও হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, কিন্তু যাত্রীর চাপে মাঝ নদীতে নৌকোয় জল ঢুকতে শুরু করে। মাঝি জল বের করার চেষ্টাও করেন। কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়নি। চাঁচলের আইসি সুকুমার ঘোষ বলেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডুবুরিও রাতের মধ্যেই চলে এসেছেন।
ঘাটের যাত্রী নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু যাত্রীই বলছেন, লাগাম ছাড়া ভাবে অনেকে নৌকোয় উঠে পড়েন, মাঝি বারণ করলেও শোনেন না। প্রশাসনকে সেই দায়িত্ব নিতে হবে।