প্রতীকী ছবি
সবাইকে পেছনে ফেলে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে কোচবিহার। সোমবার সংক্রমণে ডাবল সেঞ্চুরি করল জেলা। এ দিন আরও ১৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে সংক্রমিতের সংখ্যা ২১৩। এঁদের মধ্যে অবশ্য সুস্থ হয়েছেন ৫৯ জন। বাকিরা প্রত্যেকেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কোনও মৃত্যুর ঘটনা এখনও ঘটেনি। তার পরেও স্বাস্থ্য দফতর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না। চিকিৎসকেরা মনে করছেন, এই সময়টাই সব থেকে কঠিন।
দীর্ঘসময় লকডাউন চলার পরে এখন তা শিথিল করা হয়েছে। বলা চলে, কার্যত লকডাউন উঠে যেতে বসেছে। এই সময়েই করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে দুর্বল মানুষদের ক্ষেত্রে তা বিপজ্জনক হতে পারে। সেইজন্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান বলেন, “পরিস্থিতি অনুযায়ী সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
লকডাউনের প্রায় দু’মাস পুরোপুরি গ্রিন জোন ছিল কোচবিহার। পরিযায়ী শ্রমিকরা কোচবিহারে ফিরতে শুরু করতেই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। কয়েকদিন লাফিয়ে লাফিয়ে তা বাড়ে। রবিবার একদিনেই কোচবিহার জেলায় ৫৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়। সোমবার ফের আরও পাঁচজন আক্রান্ত। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ওই আক্রান্তদের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজনকে বাদ দিলে প্রত্যেকেই পরিযায়ী শ্রমিক। পাশাপাশি, আক্রান্তদের প্রত্যেকেই উপসর্গহীন। এই অবস্থার মধ্যে প্রশাসনের কর্তাদের উদ্বেগ আরও বেড়ে গিয়েছে। কারণ, ভিনরাজ্য থেকে এখন পর্যন্ত ১ লক্ষ ২০ হাজার শ্রমিক রাজ্যে ফিরছেন। তার মধ্যে সামান্য অংশের পরীক্ষা এখন পর্যন্ত হয়েছে। বাকি আরও প্রচুর শ্রমিক বাইরে থেকে ফিরবেন। সে অংশের সংখ্যাও কম নয় বলে ধারণা প্রশাসনের। ওই বাসিন্দাদের কোয়রান্টিন করা এবং তাঁদের লালারস পরীক্ষা করা নিয়েও চিন্তিত প্রশাসন।
এখনও কোচবিহারে লালারস পরীক্ষা তেমন ভাবে শুরু করা যায়নি। প্রশাসন দ্রুত তা চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে। এই সময়ে জেলায় সিএমওএইচ বদল হয়েছে। এক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “এই সময়টা আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেই করোনাকে হারাতে হবে।”