Siliguri

শান্ত হয়েছে তিস্তা, জলঢাকা, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও না থাকায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচল উত্তরবঙ্গ

পাহাড়ি এলাকায় ভারী বৃষ্টির জল নেমে আসায় যে ভাবে ফুঁসছিল তিস্তা, জলঢাকা, তা এখন অনেকটাই শান্ত। জলপাইগুড়ি, দার্জিলিংয়ের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সেই নদীগুলির জলস্তরও নেমে এসেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৩ ২১:৩৬
Share:

জলস্তর নেমেছে মহানন্দায়। নিজস্ব চিত্র।

হাঁফ ছেড়ে বাঁচল উত্তরবঙ্গ! পাহাড়ি এলাকায় ভারী বৃষ্টির জল নেমে আসায় যে ভাবে ফুঁসছিল তিস্তা, জলঢাকা, তা এখন অনেকটাই শান্ত। জলপাইগুড়ি, দার্জিলিংয়ের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সেই নদীগুলির জলস্তরও নেমে এসেছে। আর ভারী বৃষ্টিরও পূর্বাভাসও না থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা আর নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

ময়নাগুড়ি, দোমোহনি, জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া কিছু এলাকায় শুক্রবারও বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়েছে তিস্তার জল। জলঢাকা নদীর জলস্তরও ধূপগুড়ি লাগোয়া জাতীয় সড়কের কাছে বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়েছে। হাতিনালার জল উপচে পড়ে বন্যা পরিস্থিতি হয়েছিল বানারহাটে। জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল শিলিগুড়ির বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড। সামগ্রিক ভাবে সেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তিস্তা, দোমোহনি, জলঢাকা, রায়ডাক-সহ বিভিন্ন নদীর জলস্তর অনেকটাই নেমে এসেছে রবিবার। শান্ত হয়েছে তিস্তা। এলাকায় জল ঢুকে যাওয়ায় যাঁরা বিভিন্ন শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন, জল নেমে যাওয়ায় রবিবার তাঁরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।

জলপাইগুড়িতে তিস্তার সংরক্ষিত এলাকার বাসিন্দা সুমন শীল বলেন, ‘‘দু’দিন ধরে বৃষ্টি নেই। জলও অনেকটাই নেমে গিয়েছে। এখন আমরা ঘরে ফিরছি।’’ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় পরিবার নিয়ে একটি ক্লাবঘরে আশ্রয় নিয়েছিলেন পুর্ণিমা মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘ক্লাবেই দু’-তিন দিন ধরে ছিলাম। ওখানেই খাওয়াদাওয়া করতাম, ঘুমোতাম। এখন বৃষ্টি বন্ধ হয়েছে। কিন্তু ঘরদোরের কী অবস্থা জানি না। সবই বোধহয় ভেসে গিয়েছে বা নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’’

Advertisement

এ দিকে, আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে সিকিম আবহাওয়া দফতর। ডিরেক্টর গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি নেই। বিক্ষিপ্ত ভাবে বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি করে বজ্রপাত চলবে বেশ কয়েক জায়গায়। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার-সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে। বন্যা কবলতি এলাকাগুলির উন্নতি হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement