BJP

দক্ষিণ ২৪ পরগনার দিকে বাড়তি নজর বিজেপির! সাংগঠনিক জেলার সংখ্যা বাড়িয়ে দিল দল

প্রতিটি লোকসভা এলাকাকে আলাদা আলাদা সাংগঠনিক জেলা হিসাবে দেখে বিজেপি। কিন্তু এতদিন দার্জিলিং ও শিলিগুড়ি যেমন আলাদা জেলা ছিল তেমনই একসঙ্গে ছিল কলকাতা দক্ষিণ ও যাদবপুর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৩ ১৯:৪১
Share:

জেলা বাড়ল বিজেপির। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৈরি করেছিল বিজেপি। এ বার লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করতে সাংগঠনিক জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ কলকাতাকে ছোট করার পাশাপাশি নতুন জেলা তৈরি করল বিজেপি। এত দিন যাদবপুর লোকসভা আসন বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা জেলার মধ্যেই ছিল। এ বার যাদবপুর আলাদা জেলা হিসাবে গুনবে গেরুয়া শিবির।

Advertisement

বিজেপি বরাবরই ছোট ছোট সাংগঠনিক এলাকার পক্ষপাতি। সেই কারণে প্রশাসনিক জেলার উপরে নির্ভর না করে প্রতিটি লোকসভা এলাকা অনুযায়ী সাংগঠনিক জেলা বানায়। যেমন বাঁকুড়া জেলার মধ্যেই আলাদা বিষ্ণুপুর জেলা রয়েছে। হুগলি ছাড়াও জেলারাই শ্রীরামপুর ও আরামবাগ আলাদা আলাদা সাংগঠনিক জেলা। সেই হিসাবে বিজেপির ৪২টি জেলা হওয়ার কথা। এত দিন রাজ্য বিজেপির ৪২টি জেলা থাকলেও তার মধ্যে একটি অতিরিক্ত ছিল। সেটি হল, দার্জিলিং লোকসভা এলাকার জন্য বিজেপি পাহাড় ও সমতলকে আলাদা সাংগঠনিক জেলা হিসাবে দেখে। দার্জিলিং ও শিলিগুড়ি জেলা বলা হয়। অন্য দিকে কলকাতা দক্ষিণের মধ্যেই ঢুকে ছিল যাদবপুর।

রবিবার রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে দলের সল্টলেক দফতরে একটি বৈঠকে বসে বিজেপি। সেখানে রাজ্যের সব নেতারা ছাড়াও হাজির ছিলেন রাজ্যের দায়িত্ব পাওয়া চার কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালব্য এবং আশা লাকড়া। সেখানেই নতুন সাংগঠনিক জেলা যাদবপুরের জন্ম হয়। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি এই জেলার সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে। তার পরে তিনি জেলা কমিটি তৈরি করে রাজ্য নেতৃত্বের অনুমোদন নেবেন। এর পরে দলের সব মোর্চার ক্ষেত্রেও যাদবপুরের জন্য আলাদা সাংগঠনিক কাঠামো তৈরি হবে।

Advertisement

যাদবপুর লোকসভা এলাকার মধ্যে বারুইপুর পূর্ব, বারুইপুর পশ্চিম, বারুইপুর দক্ষিণ, যাদবপুর সোনারপুর উত্তর, টালিগঞ্জ ও ভাঙড় বিধানসভা রয়েছে। এখানে ভাঙড়ে আইএসএফ ছাড়া সবক’টি আসনই তৃণমূলের দখলে। মূলত দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন বিধানসভা এলাকা নিয়ে তৈরি এই লোকসভা আসনে ২০১৯ সালে তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী ২,৯৫,২৩৯ ভোটে জিতেছিলেন। বিজেপির অনুপম হাজরা প্রায় চার লাখ ভোট পেলেও এখানে দলের সংগঠন সে ভাবে শক্তিশালী নয়। এ বার সংগঠন মজবুত করতেই এই জেলা ভাগ বলে রাজ্য বিজেপির দাবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement