lockdown

ফোন কেনার টাকা চাই, তাই দোকানে কিশোর

ভাল মোবাইল ফোন না থাকায় সেই ক্লাস করতে পারছে না নবম শ্রেণির কিশোর ছাত্রটি। তবে নুন আনতে পান্তা ফুরনোর সংসার। তাই মোবাইল কেনার সাহস হয় না মেখলিগঞ্জের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মন্টু সর্দারের। 

Advertisement

সজল দে

মেখলিগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:৪৫
Share:

লক্ষ্যে: বাবার পানের দোকানে সেই ছাত্র। নিজস্ব চিত্র

সেই মার্চ থেকে স্কুল বন্ধ। তাই ক্লাস চলছে অনলাইনেই। কিন্তু ভাল মোবাইল ফোন না থাকায় সেই ক্লাস করতে পারছে না নবম শ্রেণির কিশোর ছাত্রটি। তবে নুন আনতে পান্তা ফুরনোর সংসার। তাই মোবাইল কেনার সাহস হয় না মেখলিগঞ্জের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মন্টু সর্দারের।
তবে সংসারের অভাবের কথা, বাবার অপারগতার কথা বোঝে সদ্য কিশোর। তাই এ নিয়ে কোনও জেদাজেদি করেনি সে কোনওদিন। বরং মোবাইল ফোন কেনার টাকা জোগাড় করতে বাবার অনুপস্থিতিতে তাঁর ছোট্ট দোকানে নিয়মিত বসে ছাত্রটি। তার বক্তব্য, বাড়তি দোকানদারি করে সেই টাকায় সে বাবাকে ফোন কিনে দিতে বলবে।
মেখলিগঞ্জ পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মেখলিগঞ্জ উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রটির মোবাইল না থাকায় তার ক্লাস হচ্ছে না। তেমনি দশম শ্রেণিতে পড়া দিদি নার্গিস ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে বোন টুম্পারও একই অবস্থা। তারাও ক্লাস করতে পারছে না। তবে ওই ছাত্র জানে, ছোট পানের দোকান দিয়েই ওদের পাঁচ জনের সংসার চলে। তাই ফোন নিয়ে কোনও আবদার করেনি সে। বরং দুপুরে দু’ঘণ্টা দোকান বন্ধ রেখে ওর বাবা বাড়িতে বিশ্রাম নিতে আসেন। এখন স্কুল বন্ধ। তাই দুপুরের দিকে ওই দু’ঘণ্টা সে দোকান সামলায়। বাড়তি ওই সময়টায় বাড়তি কিছু আয়ও হয়। বাড়তি টাকা জমলে বাবাকে সে ফোন কিনে দিতে বলবে।
ছেলেটির বাবা জানালেন, ছেলে দোকান সামলানোয় উপার্জন কিছুটা বেড়েছে। টাকা জমলে মোবাইল কেনার চেষ্টা করবেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement