এক দিকে গড়দখলের ইঙ্গিত। অন্য দিকে, দলকে একজোট রাখতে সতর্কবার্তা। উত্তর দিনাজপুর ও মালদহের কর্মীদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে এই বার্তাই দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
রবিবার রাতে শুভেন্দু মালদহের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন। সোমবার যোগ দেন গোয়ালপোখরের এক অনুষ্ঠানে। দীপা দাসমুন্সির খাসতালুকে এসে ওই অনুষ্ঠানে তিনি ইঙ্গিত দেন, ইসলামপুর পুরসভা তাঁদের হাতের মুঠোয় এসে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই তাঁরা বোর্ড গঠন করবেন।
শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘‘আগেও বলেছি, আবারও বলছি ইসলামপুর পুরবোর্ড আমরাই গঠন করব। কিছু দিনের শুধু অপেক্ষা।’’ ইসলামপুর পুরসভার আসন সংখ্যা ১৭। গত পুরভোটে কংগ্রেস ১০টি, তৃণমূল তিনটি, বিজেপি তিনটি ও নির্দল একটি আসন দখল করে। তবে সম্প্রতি কংগ্রেসের কাউন্সিলর হাজি মুজফফর হুসেন তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁর দাবি তিনি একা নন, আরও অনেকেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। যা কিছু দিন পরেই প্রকাশ হবে।
ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান কানাহাইয়ালাল অগ্রবাল বলেন, ‘‘কাউন্সিলরদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। এর পরই বলা হবে কী করা হবে।’’ এ দিন সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক ফারহাদ আফরোজের স্বামী সাব্বির এহসান, পাঞ্জিপাড়ার প্রধান লাল মহম্মদ, কংগ্রেসেরও অনেকে তৃণমূলে যোগ দেন।
রবিবার রাতে মালদহের জেলা নেতাদের বৈঠকে শুভেন্দু বলেন, বিধানসভা ভোটের আগে থেকে এখন পর্যন্ত অনেকেই কংগ্রেস ও সিপিএমের সঙ্গে যোগ রাখছেন। এ ব্যাপারে তথ্য আছে দলের কাছে। নেত্রীও সব জানেন।
দু’দিন আগেই মালদহ জেলা পরিষদের এক কংগ্রেসি সদস্যকে দলে যোগদান করানো নিয়ে জেলার একাধিক সদস্য শুভেন্দুবাবুর কাছে আপত্তি জানান। কিন্তু জেলা পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে গেলে তৃণমূলে আরও কয়েক জন প্রয়োজন। তাই শুভেন্দু সব শুনেও তখন কিছু বলেননি। তার পরেই এল এ দিনের সতর্কবার্তা। প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি ক্ষুব্ধদের কেউ কেউ বিরোধীপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন? এই নিয়ে জেলা তৃণমূলের কিন্তুমুখে কুলুপ।