দলীয় কর্মিসভায়। — নিজস্ব চিত্র
গত বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর দিনাজপুর জেলায় দলের পরাজিত প্রার্থীদেরও যোগ্য সম্মান দিয়ে দলকে শক্তিশালী করার নির্দেশ দিলেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
সেইসঙ্গে, দলের যে সমস্ত নেতা অন্তর্ঘাত করে দলীয় প্রার্থীদের পরাজিত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, দলীয় তদন্তে তাঁরা দোষী প্রমাণিত হলে দল সেই সব নেতাদের রেয়াত করবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন শুভেন্দুবাবু। প্রয়োজনে তাঁদের নেতৃত্বের পদ ছেড়ে সরিয়ে দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করে দিলেন তিনি।
রবিবার সন্ধ্যায় জেলা তৃণমূলের উদ্যোগে রায়গঞ্জের রবীন্দ্রভবনে দলীয় কর্মিসভায় যোগ দেন শুভেন্দুবাবু। ওই কর্মিসভায় তিনি দাবি করেন, বিধানসভা নির্বাচনে জেলার ন’টি আসনের মধ্যে চারটিতে দল জিতেছে। হেমতাবাদ, ইসলামপুর বিধানসভায় কম মার্জিনে দলীয় প্রার্থী সবিতা ক্ষেত্রী ও আব্দুল করিম চৌধুরী পরাজিত হয়েছেন। রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ ও চাকুলিয়ায় দলীয় সংগঠন দুর্বল হওয়ার কারণে তাঁদের তিন প্রার্থী পূর্ণেন্দু দে, বসন্ত রায় ও আলেমা নুরি পরাজিত হয়েছেন। শুভেন্দুবাবুর কথায়, ‘‘পরাজিত সমস্ত প্রার্থী সহ বিশেষকরে যাঁরা কম মার্জিনে হেরেছেন তাঁদের যোগ্য সম্মান দিয়ে দলকে শক্তিশালী করতে জেলা নেতাদের নির্দেশ দিচ্ছি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘অন্তর্ঘাতের গুরুত্ব অনুযায়ী প্রয়োজনে দোষী নেতাদের দলীয় নেতৃত্বের পদ থেকে সরে যেতে হবে। অথবা দলে সুষ্ঠ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দলকে শক্তিশালী করার পরীক্ষায় তাঁদের উত্তীর্ণ হতে হবে। আগামী ২১ জুলাইয়ের পর দলনেত্রী এই ব্যাপারে দলীয় সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করবেন।’’ দলের জেলা কমিটির তরফে এখনও পর্যন্ত আগামী ২১ জুলাই কলকাতায় দলের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য প্রচার শুরু না হওয়ায় এ দিন প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দুবাবু! তিনি বলেন, ‘‘চোপড়া থেকে রায়গঞ্জ পর্যন্ত কোথাও শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানের প্রচারের দেওয়াল লিখন, ফেস্টুন ও ফ্লেক্স চোখে পড়ল না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাঁরা শহিদ হয়েছেন, তাঁদের ব্যাপারে জেলাবাসীকে সচেতন না করলে দল করে লাভ নেই।’’