শিক্ষিকার ‘অশ্লীল’ ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। যার রাস্তাঘাটে ‘অপমানিত’ হতে হচ্ছে স্কুলের ছাত্রীদের। এই পরিস্থিতিতে যে শিক্ষিকার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তাঁর অপসারণ চেয়ে উত্তর দিনাজপুরে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল চোপড়া গার্লস স্কুলের ছাত্রীরা। এই মর্মে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার কাছেও তারা চিঠি দিয়েছেন।
তাঁর ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম শাখায় এফআইআর দায়ের করেছেন স্কুলের ওই শিক্ষিকা। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, ওই ভিডিয়োটি সম্পূর্ণ ভুয়ো। সেই এফআইআরের প্রতিলিপি স্কুলেও জমা দিয়েছেন শিক্ষিকা। সেই আবহেই তাঁর অপসারণের দাবিতে সরব ছাত্রীদের একাংশ। জাতীয় সড়কের উপর অবরোধও করে তারা। যদিও কিছু ক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে এসে অবরোধ তুলে দেয় চোপড়া থানার পুলিশ। বিক্ষোভকারী এক ছাত্রী বলে, ‘‘স্কুলে এক শিক্ষিকার একটি অশ্লীল ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিয়োর জন্য আমাদের রাস্তাঘাটে খারাপ খারাপ কথা শুনতে হচ্ছে। এ সব আমাদের ভাল লাগছে না। আমি চাই, ওই শিক্ষিকাকে সরানো হোক। ওঁকে বদলি করা হোক। যত ক্ষণ না তা হচ্ছে, তত ক্ষণ আমরা স্কুলমুখো হব না। পঠনপাঠন বয়কট করব।’’
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মল্লিকা সাহা জানান, ছাত্রীদের একাংশের চিঠি তিনি পেয়েছেন। কিন্তু পড়ুয়াদের দাবি মেনে পদক্ষেপ করা তাঁর এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। তাঁর কথায়, ‘‘আমি কাউকে স্কুলে চাকরিও দিতে পারি না, কারও চাকরি খেতেও পারি না। আমাদের হাতে যা যা নথি এসেছে, আমরা সব উপর মহলের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। গোটা বিষয়টি স্কুলের পরিচালন কমিটিকে জানানো হয়েছে। উপর মহল থেকে যে রকম নির্দেশ আসবে, সেই মতো পদক্ষেপ করা হবে।’’ পড়ুয়াদের অবরোধ প্রসঙ্গেও মল্লিকা বলেন, ‘‘ওরা বাচ্চা মেয়ে। ওদের খারাপ লেগেছে। অভিমান হয়েছে। তাই, এই ভাবে বিক্ষোভ দেখিয়েছে ওরা। আমরা ওদের বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ক্লাসে ফিরিয়ে আনব।’’