প্রতীকী ছবি।
কোথাও নোটিস টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কোথাও ইন্টারনেট কাফে জেনেই ভিড় করেছিলেন ছাত্রছাত্রীরা।
সোমবার সকাল ১০টা থেকেই কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলিতে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়। একাধিক কাফের সামনে সকাল থেকেই জড়ো হতে থাকেন ছাত্রছাত্রীরা। অনেকের সঙ্গেই অভিভাবকরাও ছিলেন। একাধিক কাফেতে সামাজিক দূরত্ব মানা হলেও বহু জায়গাতেই তা মানা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। অনেকেই অবশ্য প্রথম দিন ভিড় হতে পারে বলে অনলাইন আবেদনে শামিল হননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, অনলাইন আবেদনের জন্য ২৫ অগস্ট পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করার কারণ নেই। কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, “সবাই যাতে আবেদন ঠিক মতো করতে পারেন, সে দিকে ভেবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া গত বছরও চালু ছিল। তবে এ বারে করোনা আবহে পরিবেশই বদলে গিয়েছে। সে জন্য ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না সরকার। এখন পর্যন্ত সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে। তার মধ্যেই কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সেই সঙ্গেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ক্যাম্পাসে ভিড় এড়াতে, মার্কশিট ভেরিফিকেশনের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনলাইন ভর্তি নিয়েও অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। একে তো সকলের বাড়িতে নেট সংযোগ না থাকায় বাড়িতে বসেই অনলাইনে ভর্তির ফর্ম জমা দেওয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়। অনেকের বাড়িতে নেট থাকলেও ঠিকঠাক ভাবে সব কিছু করতে কাফের উপরেই ভরসা করছেন।
কোচবিহার শহরে কাফের সংখ্যা যথেষ্ট। কিন্তু গ্রামের দিকে কাফে হাতে গোনা।
তাই এই অবস্থার মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের ছুটতে হচ্ছে কোচবিহার শহরে। অনেকের সঙ্গেই থাকছেন তাঁদের অভিভাবকরা। এবারে কোচবিহার জেলাতেই ২১ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন। তাঁদের প্রত্যেকেই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করবেন বলে ধরে নিয়েছে প্রশাসন।
এই অবস্থায়, এআইডিএসও ভর্তি প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে। টিএমসিপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক উত্তম ঘোষ বলেন, “সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই অনলাইনে আবেদন করেন, সে বিষয়ে আমরা প্রচার শুরু করেছি। কাফেগুলিতেও বার্তা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজনে তাঁদের পাশে থাকব।”
অন্য দিকে, আলিপুরদুয়ার জেলা অনলাইন ভর্তির প্রথম দিনে কাফেগুলিতে ভিড় হয়নি। পড়ুয়ারা কাফে যাওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট সাবধান বলেই জানা গিয়েছে।