শীত না কি? আলিপুরদুয়ারের একটি স্কুলে। ছবি: নারায়ণ দে
দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তাপপ্রবাহের জেরে এ বছর ২ মে থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে গরমের ছুটি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য। কিন্তু উত্তরের দুই জেলা আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে সেই গরমের ছুটি শুরুর মুখেও বৃষ্টি চলছে। দুই জেলার বিভিন্ন জায়গায় শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টিতে তাপমাত্রা নেমে আসে। ফলে দুই জেলাতে অনেককেই ফুলহাতা জামা, এমনকি হাল্কা শীতের পোশাক পরে দেখা যায়। পড়ুয়ারা অনেকে সোয়েটার পরেও আসে।
আলিপুরদুয়ারে গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছনোর দাবিতে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তৃণমূলের অন্দরেও এ বার সেই দাবি উঠেছে। এ দিন টিএমসিপি-র আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি সমীর ঘোষ বলেন, “এ দিকে গরম দেরিতেই পড়ে। জেলার স্কুলগুলিতে যাতে গরমের ছুটি পেছনো হয়, সে ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রীর কাজে আর্জি জানাতে আমাদের সংগঠনের রাজ্য সভাপতির কাছে অনুরোধ করা হবে। কলেজগুলিতেও যাতে গরমের ছুটির মেয়াদ কমান হয়, সে জন্য আর্জি জানিয়েছি।” আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে গরমের ছুটি নিয়ে সোমবার বৈঠকে বসব।”
টানা বৃষ্টিতে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে কৃষিতে ক্ষতির আশঙ্কা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মণ বলেন, “এপ্রিল মাসে কোচবিহারের ঝড়, শিলাবৃষ্টিতে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।”