—নিজস্ব চিত্র।
ওকড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার পর ১২ জন পঞ্চায়েত সদস্যকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এ বার আরও কড়া সিদ্ধান্ত নিল কোচবিহার জেলা তৃণমূল। শুক্রবার তড়িঘড়ি জেলা কমিটির বৈঠক করে তৃণমূলের হুঁশিয়ারি, দলীয় নির্দেশ অমান্য করে ভবিষ্যতে গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থায় জেলা নেতৃত্বের কেউ জড়িত থাকলে, তাঁর বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
ওকড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রেণুকা খাতুন বিবির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার পর বুধবার ১২ জন দলীয় সদস্যকে একসঙ্গে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। শুক্রবারের বৈঠকে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ জানিয়েছেন, গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থায় জড়িত থাকলে জেলার শীর্ষ নেতা-নেত্রীও শাস্তির মুখে পড়তে পারেন।
আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের হাড়িভাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে তলবি সভা ডাকা হয়েছে। ওকড়াবাড়ির মতো হাড়িভাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতে যাতে প্রধান অপসারিত না হন, সে বিষয়ে নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। তৃণমূলের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, “বর্তমানে দলে ধসা রোগ ধরেছে। এ রোগ ভিতরে ভিতরে দলের ক্ষতি করছে। তাই এই সমস্ত অনাস্থা আনার পেছনে কারা যুক্ত রয়েছেন, তা খতিয়ে দেখতে এক সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিতে শুধু আমি রয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “প্রয়োজনে দলের সকলের সঙ্গে কথা বলা হবে। বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা আনার পিছনে যদি দেখা যায় জেলা নেতৃত্বের কেউ মদত করছেন, সে ক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শুধুমাত্র নিচুতলার কর্মীরা শাস্তি পাবেন তা হয় না। দলের শৃঙ্খলা অমান্য করলে শীর্ষ নেতারাও শাস্তি পাবেন।”