উদয়ন গুহ। ফাইল চিত্র।
দিনহাটায় উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই উদয়ন গুহকে দলের প্রার্থী বলে দাবি করে প্রচার শুরু করেন তৃণমূলের কিছু কর্মী। বিতর্ক শুরু হয়। ওই পোস্ট অনেকে তুলে নিয়ে জানান, দল এখনও প্রার্থী হিসেবে কারও নাম ঘোষণা করেনি। দিনহাটার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন বলেন, “আমি দলের কর্মী হিসেবেই কাজ শুরু করেছি। প্রার্থীর নাম নেতৃত্ব ঘোষণা করবেন।” এ দিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় উপনির্বাচনের দাবি তুলেছে বিজেপি। দলের কোচবিহার জেলার সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “প্রচারের কাজ দলীয় কর্মীরা শুরু করবেন। কলকাতায় বৈঠকের পরে প্রার্থীর নাম ঘোষণা হবে।”
দুই দলের কাছেই সব দিক থেকে দিনহাটা অন্ত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আসন। বিজেপির নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি সেখানকার ভেটাগুড়িতে। এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে ওই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী উদয়নকে হারিয়ে ৫৭ ভোটে জয়ী হন নিশীথ। পরে তিনি বিধায়ক পদ ত্যাগ করেন। তা নিয়ে দলের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। দলেরই একাংশের প্রশ্ন, পদত্যাগই যদি করাতে হত, তা হলে কেন টিকিট দেওয়া হল? স্বাভাবিক ভাবেই এ বারে ওই আসন নিশীথের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে না পারলে আরও বড় প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে।
তৃণমূলের কাছেও ওই আসনে জেতা বড় চ্যালেঞ্জ। বিধানসভা ভোটে উদয়ন মাত্র ৫৭ ভোটে পরাজিত হন। সে দিক থেকে লড়াই খুব কঠিন হবে না মনে করছেন দলের একাংশ। কিন্তু ভাবাচ্ছে অন্দরের কোন্দল। ওই এলাকায় দলের প্রাক্তন সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অনুগামীদের সঙ্গে উদয়নের অনুগামীদের ‘বিরোধ’ রয়েছে। তা তুঙ্গে উঠলে ফায়দা বিরোধীদের। ইতিমধ্যেই প্রার্থী বাছাই নিয়ে সমাজমাধ্যমেই তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীদের তরজা প্রকাশ্যে এসেছে। আবার দলের কোচবিহার জেলা সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পরে গিরীন্দ্রনাথ বর্মণের কাছেও ওই আসনে প্রার্থীকে জয়ী করানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তাঁর অবশ্য দাবি, “কোন্দল কিছু নেই। দল যাকেই প্রার্থী করুক, উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে আমরাই জয়ী হব।”