সাগরদিঘি থেকে উদ্ধার করা কচ্ছপের দেহ। —নিজস্ব চিত্র।
বেশ কয়েকটি কচ্ছপের মৃত্যু হল কোচবিহারের সাগরদিঘিতে। বুধবার সকালে সাগরদিঘির জলে বেশ কয়েকটি কচ্ছপ মরে ভেসে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশপ্রেমীরা।
বুধবার সকালে কোচবিহারের সাগরদিঘির পাড়ে প্রাতর্ভ্রমণে যান স্থানীয় কয়েক জন। সেই সময় তাঁরা কয়েকটি কচ্ছপের দেহ ভেসে থাকতে দেখেন। তাঁদের অনুমান, ১০-১২টি কচ্ছপের মৃত্যু ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পরিবেশপ্রেমীরা সকলেই এই ঘটনায় উদ্বেগে। স্থানীয় বাসিন্দা শ্রীহরি দত্তর কথায়, ‘‘সকালে এসে দেখি কচ্ছপ মরে ভাসছে। সাগরদিঘিতে দু’দিন আগে গোবর সার দেওয়া হয়েছিল। সাগরদিঘি নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। এই সাগরদিঘিকে বাঁচাতে হবে। যাঁরা দোষী তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ নিয়ে প্রশাসনের উদাসীনতা রয়েছে।’’
ফণীভূষণ দাস নামে অন্য এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘দূষণের জেরেই হয়তো এই ঘটনা ঘটেছে। শুনলাম এখানে গোবর সার দেওয়া হয়েছে। তার জেরেও এই ঘটনা ঘটতে পারে। এ ছাড়া অন্য কারণেও মৃত্যু ঘটতে পারে।’’
কোচবিহারের ডিএফও সঞ্জিত সাহা জানিয়েছেন, মৃত কচ্ছপগুলির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কোচবিহারের বাণেশ্বরে মন্দিরের পার্শ্বস্থ পুকুরে থাকা কচ্ছপ রক্ষার জন্য যে মোহন (কচ্ছপ) রক্ষা কমিটি তার সভাপতি পরিমল বর্মণ বলেন, ‘‘প্রশাসনিক উদাসীনতার কারণেই কোচবিহারের সাগরদিঘিতে এই ঘটনা ঘটেছে। কারণ যে প্রাকৃতিক পরিবেশে মোহন বা কচ্ছপ থাকে তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যার জেরে কচ্ছপের মৃত্যু ঘটছে।’’