প্রতীকী ছবি।
দিল্লির দূষণ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকায় উষ্মা প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণার নেতৃত্বধীন বেঞ্চ বলেছে, ‘টিভি চ্যানেলগুলিতে প্রসঙ্গ বহির্ভূত বিতর্ক সবচেয়ে বেশি দূষণ ছড়াচ্ছে।’
প্রধান বিচারপতি বেঞ্চের মতে, দিল্লির দূষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ছোটখাটো পর্যবেক্ষণকেও টিভি চ্যানেলগুলির আলোচনায় ‘বিতর্কিত বিষয়’ হিসেবে উপস্থাপিত করা হচ্ছে। খড়বিচালি পোড়ানোর ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সরকারকে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিলেও অভিযুক্ত কৃষকরা যাতে শাস্তি না পান, সে দিকে নজর রাখার কথাও বলেছে শীর্ষ আদালত।
দিল্লি সরকারের তরফে দূষণের কারণ হিসেবে পার্শ্ববর্তী হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের কৃষকদের খড়বিচালি পোড়ানোকে চিহ্নিত করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রের কৌঁসুলি, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা শীর্ষ আদালতকে জানান, দিল্লির দূষণের মাত্র ১০ শতাংশ হচ্ছে পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে খড়বিচালি পোড়ানো ফলে। যানবাহন এবং শিল্প থেকে বায়ু দূষণের পরিমাণ তার চেয়ে অনেক বেশি।
সলিসিটর জেনারেল তুষারের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ উঠলেও তা খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। দিল্লি সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এ বিষয়ে একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত পরিসংখ্যানের দিকে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘প্রত্যেক সংবাদপত্রেরই নিজস্ব পরিসংখ্যান রয়েছে।’’
বিচারপতি সূর্য কান্ত কৃষকদের প্রতি সভানুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘‘কোন পরিস্থিতিতে তাঁরা এমন কাজ (মাঠে খড়বিচালি পোড়ানো) করতে বাধ্য হচ্ছেন, তা নিয়ে তো কেউ সমীক্ষা করেনি।’’ পাঁচতারা হোটেলে বসে কৃষকদের দোষরোপ না করার কথা জানিয়ে শীর্ষ আদালত বলেছে, ‘আমরা কেন্দ্রকে বলছি, আগামী এক সপ্তাহ খড়বিচালি না পোড়ানোর জন্য কৃষকদের অনুরোধ করতে।’