বাঁ দিকে জুয়েল মুর্মু ও ডান দিকে গোপালচন্দ্র সাহা। —নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি-র শক্তঘাঁটি উত্তরবঙ্গ। সেই উত্তরবঙ্গ জোনের বিধায়কদের নিয়ে বুধবার ডাকা একটি বৈঠকে গরহাজির দলেরই পাঁচ বিধায়ক। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হবিবপুরের বিধায়ক জুয়েল মুর্মু এবং মালদহের বিধায়ক গোপালচন্দ্র সাহা। গত কয়েক দিনের মধ্যে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ এবং উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। তাতে বিজেপি-র বিধায়ক সংখ্যা কমে এখন হয়েছে ৭৩। এই আবহে দলীয় বৈঠকে পাঁচ বিধায়কের গরহাজিরা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও জুয়েল এবং গোপাল-সহ অন্যদের নিয়ে ‘অন্য ভাবনা’ মাথায় আসছে না মালদহের বিজেপি নেতাদের। তাঁদের মতে, ‘ওরা ভাল ছেলে।’
বুধবার দলের উত্তরবঙ্গ জোনের মোট ২৯ জন বিধায়ককে বৈঠকে ডেকেছিল বিজেপি। তার মধ্যে গরহাজির ছিলেন পাঁচ জন। জুয়েল এবং গোপাল ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন না কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ ওরাঁও, বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ী এবং গঙ্গারামপুরের বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়। বৈঠকে অনুপস্থিতির কারণ হিসাবে জুয়েল জানিয়েছেন, বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে এই মুহূর্তে তিনি কলকাতায়। সত্যেন্দ্রনাথও জানিয়েছেন, তিনি অসুস্থ। একই কারণ দেখিয়েছেন মালদহের বিধায়ক।
বিজেপি বিধায়কেরা তাঁদের গরহাজিরার কারণ দর্শালেও, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জল্পনা শুরু হয়েছে। তা নিয়ে দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ গোপাল। তাঁর পাল্টা, ‘‘তৃণমূলের বৈঠকেও তো অনেক বিধায়ক থাকেন না। তা নিয়ে তো কেউ প্রশ্ন তোলে না! গরহাজির শব্দটার মানে কী? আমার শরীর খারাপ তাই উপস্থিত হতে পারিনি। মৌখিক ভাবে উচ্চ নেত়ৃত্বকে জানিয়েছি। এটাই তো যথেষ্ট।’’
জুয়েল এবং গোপালকে নিয়ে গর্বের সুর বিজেপি-র মালদহ জেলার সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডলের গলায়। তিনি বলছেন, ‘‘বিষ্ণুপুর এবং বাগদার বিধায়ক তৃণমূল থেকে এসেছিলেন এবং তাঁরা তৃণমূলেই ফিরে গিয়েছেন। কিন্তু এঁরা (জুয়েল মুর্মু এবং গোপালচন্দ্র সাহা) ছোট থেকে আমাদের সঙ্গেই মানুষ হয়েছেন। তাঁদের কোনও ক্ষোভ নেই। ওঁদের নিয়ে অন্য কিছু ভাবারও কোনও কারণ নেই। আর তা মাথাতেও আসে না। অনেকেই বৈঠকে যাননি। আমাকে গোপাল বলেছিলেন যে, উনি শারীরিক কারণে থাকতে পারবেন না। গোপাল এবং জুয়েল সম্পর্কে চিন্তার কারণ নেই। জুয়েলের সঙ্গেও কথা বলব।’’