বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বাসভবনে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র।
পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে নিজের বাসভবনে আটক রয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। পড়ুয়ারা বাড়িতে খাবার ঢুকতে দিতেও বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। বুধবার সকালে ‘পূর্বিতা’র বন্ধ গেটের তলা দিয়েই উপাচার্যের জন্য খাবার দিলেন ছাত্র-ছাত্রীরা। সকালে দুধ, পাউরুটি, ডিম, কলা দিয়েছেন তাঁরা। উপাচার্যের জন্য তিন বেলা খাবার পৌঁছে দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
বিশ্বভারতীর তিন ছাত্রকে বরখাস্ত করার প্রতিবাদে ২৭ অগস্ট শুক্রবার রাত থেকে উপাচার্যের বাসভবন ‘পূর্বিতা’র সামনে আন্দোলন শুরু করেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। দিন দিন বাড়ছে সেই আন্দোলনের ঝাঁঝ। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানীয় সংগঠন তাঁদের সমর্থনে মিছিল করেছে। মঙ্গলবার এসএফআই-এর মিছিলের পর, বিশ্বভারতীর আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সমর্থনে বুধবার ছাত্র পরিষদ মিছিল করেছে। বৃহস্পতিবার এই আন্দোলনে যুক্ত হতে পারে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তিন বছর পর তারা মিছিল করবে বিশ্বভারতীতে।
এই খাবার দেওয়া হয়েছে উপাচার্যকে। নিজস্ব চিত্র।
বিদ্যুৎ চক্রবর্তীও বসে নেই। তিনি ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা চেয়ে শান্তিনিকেতন থানায় আবেদন করেছেন। চেনাজানা লোকেদের বলে চলেছেন তাঁর বাড়িতে খাবার ঢুকতে না দেওয়ার মতো বিভিন্ন ‘অসহযোগিতা’র কথা। জানা গিয়েছে, উপাচার্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি চিঠি দিয়েছেন। সেই চিঠিতেও না কি খাবার, কাজের লোকদের বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার কথা লিখেছেন। এ ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, কিন্তু এখনও পর্যন্ত উপাচার্যের প্রতিক্রিয়া পাওয়া সম্ভব হয়নি।
যদিও উপাচার্যের এই দাবিকে মিথ্যা বলেছেন আন্দেলোনকারীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, উপাচার্য আন্দোলনকে কলুষিত করার জন্য অপপ্রচার করছেন। তার পাল্টা হিসাবে, কিছুটা গাঁধীগিরির ঢঙে পড়ুয়ারা খাবার পৌঁছে দিয়েছেন উপাচার্যের আবাসে। এ ভাবে দিনে তিন বার খাবার পৌঁছে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তাঁরা।