কেন্দ্র ও রাজ্যকে খেয়াল রাখতে হবে ধার যেন মাত্রা না ছাড়ায়। —প্রতীকী চিত্র।
চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিক (এপ্রিল-জুন) থেকেই মন্থর হতে শুরু করেছিল ভারতের আর্থিক কর্মকাণ্ড। জিডিপি বৃদ্ধির হার নামে ৬.৭ শতাংশে। জুলাই-সেপ্টেম্বরে তা আরও মাথা নামিয়ে হয় ৫.৪%। যা গত সাতটি ত্রৈমাসিকে সর্বনিম্ন। মূল্যায়ন সংস্থা ইওয়াই-এর ব্যাখ্যা, দ্বিতীয়ার্ধে অর্থাৎ অক্টোবর-মার্চে অর্থনীতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও গোটা অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার ৬.৫% পেরনো প্রায় অসম্ভব। আগের অনুমান ছিল ৭%-৭.২%। সংস্থার বার্তা, আগামী (২০২৫-২৬) অর্থবর্ষেও তা ৬.৫ শতাংশের কাছে থাকতে পারে। এই অবস্থায় অর্থনীতিকে গতিশীল করতে সরকারি খরচ জরুরি। তবে কেন্দ্র ও রাজ্যকে খেয়াল রাখতে হবে ধার যেন মাত্রা না ছাড়ায়।
চড়া মূল্যবৃদ্ধিতে বাজারে বিক্রিবাটার মন্দগতি দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে শিল্প এবং সরকারের। পরিস্থিতি উন্নত করতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে সুদ কমানোর সওয়াল করছে সংশ্লিষ্ট মহল। বাজেটে কেন্দ্রের তরফে উপযুক্ত দাওয়াইয়ের দাবিও উঠতে শুরু করেছে। আজ ভারতীয় অর্থনীতি সম্পর্কে ডিসেম্বরের সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করে ইওয়াই জানিয়েছে, দেশের আর্থিক কর্মকাণ্ডকে সচল রাখার ইঞ্জিন মূলত দু’টি। ব্যক্তিগত কেনাকাটা এবং স্থায়ী মূলধনে লগ্নি। অর্থবর্ষের প্রথমার্ধে দু’টিতেই গতি কমেছে। যা আর্থিক বৃদ্ধির হারকে অন্তত ১.৫ শতাংশ বিন্দু নামিয়ে দিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘বিনিয়োগ যে কমেছে, তা স্থায়ী মূলধনী পণ্য তৈরিতে খরচের গতি মন্থর হওয়া থেকেই স্পষ্ট। তা দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির ৫.৪ শতাংশের নামার অন্যতম কারণ। বেসরকারি লগ্নি তো বাড়েইনি, সেই সঙ্গে বছরের প্রথমার্ধে সরকারি খরচও ১৫.৪% কমেছে।’’ ইওয়াই আরও জানিয়েছে, অক্টোবরেও সরকারি খরচ সঙ্কুচিত হয়েছে ৮.৪%। সব মিলিয়ে সাত মাসে তা ১৪.৭% কমেছে। এই অবস্থায় বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সরকারি খরচ করতে গেলে অবশিষ্ট পাঁচ মাসে তা বাড়াতে হবে ৬০.৫%।