বরফে ঢেকেছে সান্দাকফু। — নিজস্ব চিত্র।
উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের বহু জায়গাতেই মুখ ভার আকাশের। রয়েছে কালবৈশাখীর সতর্কতাও। এই আবহে রবিবার দুপুর থেকে ভারী তুষারপাত হল পাহাড়ে। দার্জিলিঙের সান্দাকফু-সহ বহু এলাকা এই মার্চে ঢেকে গিয়েছে বরফের চাদরে।
শীত কি আবার ফিরল পাহাড়ে? রবিবার ভারী তুষারপাতের পর এই প্রশ্ন উঠছে পাহাড়বাসীর মনে। মরসুমের শেষে তুষারপাত দেখা গিয়েছে দার্জিলিঙের সান্দাকফু, সিঙ্গালিলা, ফালুট-সহ একাধিক এলাকায়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শেষ বার তুষারপাত হয়েছিল সান্দাকফুতে। তার পর বিভিন্ন সময় তুষারপাতের সম্ভাবনা তৈরি হলেও তা থেমে গিয়েছে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়ে। তুষারপাতের জেরে রবিবার যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় সান্দাকফু, ফালুট, সিঙ্গালিলা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায়। তবে দার্জিলিঙে এখন পর্যটকের সংখ্যা কিছুটা কম।
রবিবার দুপুরে হঠাৎ তুষারপাত। — নিজস্ব চিত্র।
দার্জিলিঙের উঁচু এলাকায় তুষারপাত হলেও মূল শহরে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। তবে তুষারপাতের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে আবহাওয়ার। এই মার্চে আবার জাঁকিয়ে শীত পড়েছে পাহাড়ে। শনিবার রাতে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ আশপাশের এলাকায়। রবিবার সকাল থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যায়। প্রাথমিক ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমে যায়। দিনভর মেঘাচ্ছন্ন ছিল আকাশ। এর পর দুপুরে নেমে আসে বরফের চাদর। শীতের অনুভূতি রয়েছে দার্জিলিঙের সমতল এলাকাতেও।