ভাইকে খুন করে টুকরো টুকরো করে কেটে পাচার দিদির। — প্রতীকী ছবি।
তাঁর সম্পর্কের কথা জেনে ফেলেছিলেন ভাই। সেই রাগে ভাইকেই সরিয়ে দেন তিনি। খুনেই শেষ নয়, ভাইয়ের দেহ কুচি কুচি করে কেটে ব্যাগে করে পাচারও করেছিলেন বিভিন্ন জায়গায়। ঘটনার ৮ বছর পর শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে গেলেন দিদি। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে।
কর্নাটকের বিজয়পুরা জেলার বাসিন্দা ভাগ্যশ্রী সিদ্দাপ্পা পুজারি। তাঁর ভাই লিঙ্গারাজু। তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয় কলেজের বন্ধু শিবপুত্রের সঙ্গে। ২০১৫ সালে ভাগ্যশ্রী বেঙ্গালুরু চলে যান। সেখানে গিয়ে শিবপুত্রের সঙ্গেই থাকতে শুরু করেন তিনি। এই অবস্থায় এক দিন বেঙ্গালুরু বেড়াতে যান ভাই লিঙ্গারাজু। ওঠেন দিদির বাড়িতে। কিন্তু সেখানে শিবপুত্রকে দেখে অবাক হন লিঙ্গারাজু। পরবর্তীতে জানতে পারেন দু’জনের সম্পর্কের কথা। এতে ভয় পেয়ে যান দিদি ভাগ্যশ্রী। ভাই যদি সব কথা বাড়িতে বলে দেয়! এই ভয় থেকেই শিবপুত্রকে সঙ্গে নিয়ে ভাইকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষেন তিনি। সেই অনুযায়ী, দু’জনে মিলে খুন করেন লিঙ্গারাজুকে। তার পর প্রমাণ লোপাটের জন্য ভাইয়ের দেহ কুচি কুচি করে কেটে ফেলেন। ৩টি ব্যাগে ভরে তিনটি পৃথক জায়গায় ফেলে দেন। এ দিকে লিঙ্গারাজু ফিরে না আসায় বাড়ি থেকে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। পুলিশ তাঁকে খুঁজে পায়নি। ভাইকে খুন করে বেঙ্গালুরু থেকে পাততাড়ি গোটান ভাগ্যশ্রী। নাম-পরিচয় বদলে দু’জনেই চলে যান মহারাষ্ট্রের নাসিকে। শেষ পর্যন্ত ৮ বছর পরে সেই মামলার পর্দাফাঁস হল। নাম-পরিচয় বদলেও শেষরক্ষা হল না দিদির। ধরা পড়ে গেলেন পুলিশের হাতে। পুলিশ ভাগ্যশ্রীর সঙ্গী শিবপুত্রকেও গ্রেফতার করেছে।
ছেলের এই পরিণতির কথা জানতে পেরে চোখের জল বাধ মানছে না পরিবারের। তাঁরা অবাক, দিদির হাতে ভাইয়ের এমন পরিণতি হল!