হেরে গেলেন রোহিত শর্মারা। —ফাইল চিত্র
ভারত ব্যাট করার সময় যে পিচ দেখে মনে হচ্ছিল পেসারদের স্বর্গ, সেই পিচেই অস্ট্রেলিয়া ১১ ওভারে ১২১ রান তুলে নিল কোনও উইকেট না হারিয়ে। মিচেল স্টার্কদের বিরুদ্ধে ভারত ব্যাট করার চেষ্টা করেছে বলা যায়। তাতেও ২৬ ওভারে বেশি টিকতে পারেনি। ১১৭ রানে শেষ হয়ে বিরাট কোহলিদের ইনিংস। সেই রান তুলতে নেমে টি-টোয়েন্টির মেজাজে রান তুলে পুরো ম্যাচটাই ৩৭ ওভারে শেষ করে দিল অস্ট্রেলিয়া।
বিশাখাপত্তনমে রবিবার ৫টা থেকে বৃষ্টি আসার কথা ছিল। ম্যাচে ওভার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু সে সব ম্যাচ শুরুর আগের কথা। খেলাটাই শেষ হয়ে গেল ৫.৩০ মিনিটে। আকাশে মেঘ সাজতে শুরু করার আগেই খেলা শেষ করে দিল অস্ট্রেলিয়া। বৃষ্টি নিয়ে ভাবার প্রয়োজনই হল না। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস কিছু ছয়ের বৃষ্টি হল বলা যায়। তা-ও খুব বেশি হওয়ার সুযোগ দেয়নি ভারত। কারণ ১১৮ রানের লক্ষ্যে কতই বা বাউন্ডারি মারা যায়। ভারতের ইনিংসে দু’টি ছক্কা মেরেছিলেন অক্ষর পটেল। চার হয়েছিল ন’টি। অস্ট্রেলিয়া মারল ১৬টি। অর্থাৎ ১২১ রানের মধ্যে বাউন্ডারি মেরেই অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার মিচেল মার্শ এবং ট্রেভিস হেড তুললেন ১০০ রান। বাকি ২১ রান দৌড়লেন।
ভারতের ব্যাটারদের ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। শুভমন গিল এবং সূর্যকুমার যাদব পর পর দু’টি ম্যাচেই প্রায় এক ভাবে আউট হলেন। তরুণ ওপেনারকে তিন ধরনের ক্রিকেটেই ভাবতে শুরু করেছে ভারত। কিন্তু তিনি অফস্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট বাড়িয়ে দেওয়ার লোভ সামলাতে পারছেন না। একই ভাবে আউট হলেন দু’টি ম্যাচেই। সূর্যকুমার তো স্টার্কের বলই বুঝতে পারলেন না। আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও উইকেটের সামনে তাঁর পা খুঁজে নিলেন স্টার্ক।
বাঁহাতি পেসারদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটারদের দুর্বলতা অনেক দিনের। তা থেকে বেরোতেই পারছেন না রোহিতরা। আর সেই পেসার যদি স্টার্কের মতো অভিজ্ঞ কেউ হন, তা হলে তো কথাই নেই। ম্যাচ শেষে স্টার্ক বলছিলেন যে, তিনি ভারতীয় ব্যাটারদের নিয়ে হোমওয়ার্ক করে নেমেছিলেন। বুঝে নিয়েছিলেন সূর্যকুমারের দুর্বলতা। সেই বুঝেই বিশাখাপত্তনমে বল করছিলেন। তাতেই সাফল্য এসেছে। কিন্তু ভারতীয় ব্যাটাররা কি সেই হোমওয়ার্কটা করেছিলেন? স্টার্ককে খেলতে হলে যে মুনশিয়ানা প্রয়োজন তা দেখা গেল না শুভমনদের মধ্যে।
গত ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাট করে ১৮৮ রান করেছিল। সেই ম্যাচে বিরাটের উইকেট নিয়েছিলেন স্টার্ক। এক দিনের ক্রিকেটে প্রথম বার বিরাটকে আউট করেছিলেন তিনি। এ দিন পারলেন না। বিরাটই একমাত্র খেলছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের বিরুদ্ধে। ৩৫ বলে ৩১ রান করেন তিনি। চেষ্টা করছিলেন ক্রিজে টিকে থাকতে। কিন্তু উল্টো দিক থেকে একের পর এক ব্যাটার আউট হলেন। নাথান এলিস নেন বিরাটের উইকেট। এলবিডব্লিউ হন তিনি। রিভিউ নেওয়ারও চেষ্টা করেননি বিরাট।
সিরিজ় ১-১। শেষ ম্যাচ চেন্নাইয়ে। ২২ মার্চ সেই ম্যাচের গুরুত্ব বেড়ে গেল। সিরিজ় কে জিতবে তা ঠিক হবে ওই ম্যাচে। রোহিত ওই ম্যাচে টস জিততে চাইবেন। কারণ আগে ব্যাট করলে এই ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা থেকে যাবে। পরে ব্যাট করলে তবুও লক্ষ্য দেখে নেওয়ার সুযোগ থাকবে।