Bakery Cakes

বড়দিনের কেক নিয়ে চিন্তা ছোট বেকারির

শহরের বেকারি মালিকদের দাবি, ময়দা, চিনি, ডিম থেকে কেক তৈরির প্রায় প্রত্যেকটি কাঁচামালের দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ।

Advertisement

নীতেশ বর্মণ

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:১০
Share:

চিন্তায় ছোট বেকারী। প্রতীকী চিত্র।

বড়দিনের আগে, শহরের রাস্তায় রাস্তায় মিষ্টি গন্ধ। সে গন্ধ কেকের। সে সুবাসে দিনভর ম-ম করছে চার পাশ। কিন্তু স্থানীয় বেকারি বা দোকানে ঢুকে কেকের গায়ে সাঁটা দামের উল্লেখ দেখেই ছ্যাঁকা লাগছে! কারণ, অন্য বারের তুলনায় এ বার কেকের দাম অনেকটাই বেশি। বড়দিনে এ বার কেক কেমন কেনা যাবে, চিন্তা তা নিয়েই ক্রেতাদের অনেকের। যদিও স্থানীয় কেক তৈরির বড় সংস্থাগুলি এ বার সুলভ মূল্যে কেক খাওয়াতে উঠে-পড়ে লেগেছে। সে তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে পড়ছে ছোট বেকারি, ছোট সংস্থা। শিলিগুড়ি শহরের কিছু বেকারির সুনাম রয়েছে। কিন্তু তারা কি নামী কেক কোম্পানির সঙ্গে পারবে পাল্লা দিতে? উঠছে সে প্রশ্ন। কিছুটা দ্বিধায় স্থানীয় বেকারির মালিকেরা।

Advertisement

শহরের বেকারি মালিকদের দাবি, ময়দা, চিনি, ডিম থেকে কেক তৈরির প্রায় প্রত্যেকটি কাঁচামালের দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। এর ফলে, ছোট বেকারি কেকের দাম বাড়িয়েছে গত বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি। তার প্রভাব পড়ছে বিক্রিতেও। বড় সংস্থা এক সঙ্গে অনেক কেক তৈরি করায় এবং বিক্রি ভাল থাকায়, কাঁচামালের দাম বাড়লেও দামে ছাড় দিতে পারে বলে দাবি।

বিধান মার্কেটের একটি বেকারি সংস্থার মালিক সমীর দত্ত জানান, ছোট বেকারি বিক্রির বাজার বিবেচনা করেই কাঁচামাল কিনে থাকে। তাই তাদের পক্ষে আগাম সামগ্রী কিনে রাখা সম্ভব নয়। ফলে, কাঁচামালের দামের উপরে কেকের দাম নির্ভর করে। বড়দিনের আগে, এ বারও বিক্রি শুরু হয়েছে। কিন্তু বিগত বছরগুলির তুলনায় আগাম কেকের চাহিদা কিছুটা কম। সমীর বলেন, ‘‘স্থানীয় বেকারির নিজস্বতা রয়েছে। তাই স্থানীয় ক্রেতারা শহরের বেকারিগুলিতেই ভিড় করবেন বলে আশাবাদী।’’

Advertisement

শহরের আর একটি কেক প্রস্তুতকারক সংস্থার মালিক চিত্তরঞ্জন দাসের বক্তব্য, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে এ বার কেকের দাম বেড়েছে এবং তার ছাপ পড়বে বিক্রিতে। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য দফতর করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছে। বড়দিনের আগে, পরিস্থিতি জটিল হলে, কেকের বাজারে ধাক্কা লাগতে পারে বলে আশঙ্কা। সে ক্ষেত্রে কেক প্রস্তুতকারক ছোট সংস্থাগুলি বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement