baby

জন্মের পর থেকে ছ’টি শিশুর ঠিকানা মালদহের হাসপাতাল, বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যায়নি পরিবার

ছ’টি শিশুরই পরিবারের কোনও খোঁজ মেলেনি। তাদের মধ্যে এক জনের মা প্রসবের সময় মারা গিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২২ ২১:২৩
Share:

পরিত্যক্ত ছ’টি শিশুর মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ছবি: প্রতীকী

পরিবার বাড়ি নিয়ে যায়নি। জন্মের পর থেকে ছ’টি শিশুর ঠিকানা তাই মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্পেশাল সদ্যোজাত কেয়ার ইউনিট (এসএনসিইউ)। এদের মধ্যে চার জন অসুস্থ। দু’টি শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের চিকিৎসা চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কাজের ফাঁকে বাকি চার জনের দেখভাল করতেও সমস্যায় পড়ছেন নার্সেরা।

Advertisement

ছ’টি শিশুরই পরিবারের কোনও খোঁজ মেলেনি। তাদের মধ্যে এক জনের মা প্রসবের সময় মারা গিয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২৩ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরের এক তরুণী প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে সেখানে ভর্তি হন। পরের দিন, ২৪ সেপ্টেম্বর অস্ত্রোপচার করা হয় তাঁর। কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। ওই দিনই প্রসূতির মৃত্যু হয়। সদ্যোজাতকে এসএনসিইউ বিভাগে ভর্তি রাখা হয়। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এর পর পরিবার সদ্যোজাতকে না নিয়েই বাড়ি চলে যায়।

আশঙ্কাজনক দু’টি শিশুকে চিকিৎসার জন্য কলকাতার বাঙুর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। দু’জনের চিকিৎসা চলছে সেখানেই। বাকি দুই শিশু সুস্থ। তাদের নিয়েই বেশি চিন্তা। কারণ চিকিৎসকদের আশঙ্কা, শিশু বিভাগের অন্য অসুস্থ শিশুদের থেকে সংক্রমিত হতে পারে তারাও।

Advertisement

সুস্থ শিশুদের অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মালদহ জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিকে চিঠি দিয়েছেন মেডিক্যালের কর্তারা। ছ’টি শিশুরই পরিবারের খোঁজ করা হয়েছে। হাসপাতালে নথিভুক্ত ঠিকানায় তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। শিশুদের পরিবারের খোঁজে ইংরেজ বাজার থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এসএনসিইউ বিভাগে নাম পরিচয়হীন ছয় সদ্যোজাত রয়েছে। কেউ তিন মাস, কেউ বা আরও বেশি সময় ধরে স্পেশাল নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট (এসএনসিইউ)-এ চিকিৎসাধীন।’’ শিশুদের দেখভাল করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন এসএনসিইউ বিভাগের নার্স, কর্মীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নার্স বলেন, “কাজের ফাঁকে শিশুদের খাওয়াতে হচ্ছে। স্নান করানো থেকে শুরু করে সদ্যোজাতদের দেখভাল এখন আমাদের করতে হচ্ছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement