কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে আসা হল অসুস্থ অশোক ভট্টাচার্যকে

পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, মেয়রের অসুস্থতার কারণে সোমবার মেয়র পারিষদের বৈঠকও করা সম্ভব হয়নি। এই পরিস্থিতিতে পুর চেয়ারম্যান দিলীপ সিংহ এ মাসে পুরসভার বোর্ড মিটিং স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন পুর কমিশনারকে। পুর কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া বলেন, ‘‘নির্দেশ মতো এ মাসে বোর্ড মিটিং স্থগিত করা হচ্ছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৯ ০৫:২০
Share:

কলকাতার পথে। নিজস্ব চিত্র।

উন্নত চিকিৎসার জন্য মেয়র অশোক ভট্টাচার্যকে নিয়ে কলকাতায় এলেন তাঁর স্ত্রী এবং সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বদের একাংশ। শিলিগুড়ির যে নার্সিংহোমে রবিবার তাঁকে ভর্তি করানো হয়, সেখান থেকে সোমবার সন্ধ্যায় ছুটি দেওয়া হয়েছে অশোককে। এর পর তিনি বাড়িতে যান। রাতে বাড়ি থেকেই পদাতিক এক্সপ্রেস ধরেন। চিকিৎসক দেবজ্যোতি সরকারের অধীনে শিলিগুড়ির সেবক রোডের একটি নার্সিংহোমে তিনি ভর্তি ছিলেন।

Advertisement

চিকিৎসক জানান, রবিবার রাত থেকেই অনেকটা ভাল রয়েছেন মেয়র। শ্বাসকষ্ট বা বুকের ব্যথাও নেই। তাই আর অক্সিজেন দিতে হচ্ছিল না। এ দিন দুপুরে সাধারণ খাবার খেয়েছেন। কলকাতায় হৃদরোধ বিশেষজ্ঞ শুভানন রায়ের কাছে চিকিৎসা করাতে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা গিয়েছে।

অশোকের সঙ্গে স্ত্রী রত্না ভট্টাচার্য ছাড়াও গিয়েছেন দলের জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার, মেয়র পারিষদ শঙ্কর ঘোষ, জয় চক্রবর্তী, সৌরভ দাসরা। পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, মেয়রের অসুস্থতার কারণে সোমবার মেয়র পারিষদের বৈঠকও করা সম্ভব হয়নি। এই পরিস্থিতিতে পুর চেয়ারম্যান দিলীপ সিংহ এ মাসে পুরসভার বোর্ড মিটিং স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন পুর কমিশনারকে। পুর কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া বলেন, ‘‘নির্দেশ মতো এ মাসে বোর্ড মিটিং স্থগিত করা হচ্ছে।’’

Advertisement

রবিবার সকালে অসুস্থ বোধ করছিলেন মেয়র। সকালেই মেয়র পারিষদ শঙ্কর বাড়িতে গেলে তাঁকে বিষয়টি জানান। গ্যাসের ওষুধ খেলেও কয়েক বার বমি করেন। তার পরেই ডাক্তারকে দেখানো হয়। ইসিজি এবং অন্যান্য পরীক্ষা করার পরে চিকিৎসক শেখর চক্রবর্তী জানিয়ে দেন, মেয়র হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাঁর ‘মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক’ হয়েছে। এর পর তিনি অশোকের অ্যাঞ্জিয়োগ্রাম করানোর পরামর্শ দেন।

অশোককে সেবক রোডের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসক দেবজ্যোতি সরকারের কাছে পাঠান ডাক্তার। সেখানে পরীক্ষায় তাঁর করোনারি ধমনীতে ৮৫ শতাংশ ‘ব্লক’ ধরা পড়ে। পরীক্ষার সময় বুকে ব্যথা বেড়ে গেলে ইঞ্জেকশনও দেওয়া হয়। তাঁকে অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসক। তা করাতেই এর পর তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement