গৌতম দেব ও অশোক ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র
শিলিগুড়ি পুরসভার নাগরিক কনভেনশনে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকে থাকার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। তবে এখনও পর্যটনমন্ত্রীর কাছ থেকে কোনও উত্তর বা সাড়া পাননি বলে জানান তিনি।
কনভেনশন ডাকা নিয়ে সম্প্রতি মন্ত্রী-মেয়র তরজাও চলেছে। বিধান মার্কেটে অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন পর্যটনমন্ত্রী। বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে শিলিগুড়ি বাঁচাও-এর ডাক দিয়ে তিনি কনভেনশন করবেন বলে জানান। শহরের বিভিন্ন জায়গায় মন্ত্রীকে সাধুবাদ দিয়ে ব্যানারও দেওয়া হয়। তা নিয়ে কটাক্ষ করে মেয়র বলেন, মন্ত্রীর লোকেরাই এ সব টাঙাচ্ছে! একই সঙ্গে মন্ত্রীর ডাকা সভা নাগরিক কনভেনশন নয় বলেও দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায় ওই কনভেনশন ডাকার এক্তিয়ার শুধু পুরসভার। এর পরেই পুরসভার তরফে নাগরিক সভা করার কথা জানান মেয়র। ১৯ অগস্ট দীনবন্ধু মঞ্চে সেই নাগরিক সভা হবে। সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। মেয়র বলেন, ‘‘পর্যটনমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। তবে তিনি কিছু জানাননি। তাই তাঁর নাম বলতে পারছি না।’’
গত ৩ অগস্ট দীনবন্ধু মঞ্চে নাগরিক সভা করেন পর্যটনমন্ত্রী। সেই সভায় অবশ্য মেয়রকে ডাকা হয়নি। শুধু কার্ড পাঠানো হয়। তবে পুরসভার ডাকা সভায় মন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে তাঁর সম্মতি চেয়ে চিঠি পাঠান মেয়র। পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘‘পুরসভার চিঠি পেয়েছি। তবে ওই দিন দলের কর্মসূচি রয়েছে। সেগুলো অনেক আগে থেকে পরিকল্পনা করা রয়েছে।’’ সেই কাজে থাকতে হবে বলে পুরসভার নাগরিক সভায় তাঁর থাকা সম্ভব হবে না, জানান পর্যটনমন্ত্রী।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, কাজে কলকাতায় রয়েছেন মন্ত্রী। শনিবার তিনি শিলিগুড়ি ফিরে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে কোনও কর্মী-সমর্থকের বাড়িতে রাতে থাকবেন। ১৮ অগস্ট সেই কর্মসূচি সেরে ফিরবেন। ১৯ অগস্ট অন্য আর এক জায়গায় একই কর্মসূচি রয়েছে।
মেয়র জানান, নাগরিকদের, ব্যবসায়ীদের, বিভিন্ন ক্লাব, প্রতিষ্ঠানকে ডাকা হয়েছে। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতিকে, ফাঁসিদেওয়া এবং নকশালবাড়ির কংগ্রেসের বিধায়কদেরও ডাকা হয়েছে। তাঁরা সম্মতি দিয়েছেন। অন্যান্য দলের লোকদেরও ডাকা হয়েছে। তবে তাঁদের সম্মতি এখনও মেলেনি।
পুর কর্তৃপক্ষ জানান, গত চার বছর ধরে তাঁরা যে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে উন্নয়নের কাজ করছেন, কনভেনশনে তা তুলে ধরা হবে। রাজ্যের কাছে অনেক টাকা বকেয়া আছে বলে পুরসভার দাবি। ‘ভিশন ২০৩০’ পরিকল্পনা, বাসিন্দাদের সমস্যা সামনে রেখে খসড়া রিপোর্ট তৈরি হবে। লিখিত মতামত জানাতে দু’টি বাক্সও রাখা হবে।