সিকিমে খাদে পড়ে যাওয়া গাড়ি। —ফাইল ছবি
দুই রাজ্যের মধ্যে পরিবহণ চুক্তি সই হয়েছে। সেই সুবাদে সিকিমের গাড়ি অবাধে আসতে পারছে সমতলে। অথচ অনুমতি না দেওয়ায় সমতল সহ এই রাজ্যের গাড়ি নিয়ে পর্যটকরা সিকিমের সর্বত্র যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। তাই শিলিগুড়ি থেকে সিকিমের নানা গন্তব্যে যেতে একাধিক গাড়ি বদল করতে হচ্ছে পর্যটকদের। সিকিমের গেজিংয়ের আরটিও সোনম ওয়াংচেন বলেন, ‘‘কিছু সমস্যার কথা আমরাও শুনেছি। রাজ্যস্তরে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা চলছে। সমস্যা মেটাতে দুই রাজ্যের মধ্যে শীঘ্রই বৈঠক হবে।’’
চলতি মার্চেই পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের মধ্যে পরিবহণ চুক্তি সই হয়েছে বলে জানিয়েছেন দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক জয়সী দাশগুপ্ত। পরিবহণ দফতরের তথ্য অনুসারে উভয় রাজ্যের ২৫০০ যাত্রীবাহী ছোট গাড়ি ও বাস আন্তঃরাজ্য রুটে চলাচল করতে পারবে। সেনাবাহিনীর এলাকা বাদ দিয়ে সিকিমের সর্বত্রই পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাওয়া গাড়িগুলি চলতে পারবে। সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বয়ানের একটি অনুমতিপত্রে পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিম উভয় রাজ্য পরিবহণ দফতরের কর্তারা স্বাক্ষর করবে।
শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক সিরাজ দানেশ্বর বলেন, ‘‘এটা ঠিক সিকিমের গাড়ি আমাদের এখানে অবাধে ঘুরছে অথচ আমাদের গাড়িগুলিকে ওরা আটকে দিচ্ছে। সিকিম সরকার আন্তঃরাজ্য পরিবহণ চুক্তি মানতে চাইছে না। আমাদের পর্যটন ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। আমি বিষয়টি নিয়ে সিকিমের পরিবহণ দফতরের সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’’
বর্তমানে শিলিগুড়ি থেকে যাওয়া গাড়িগুলি পুর্ব সিকিমের গ্যাংটকের দেওরালি, দক্ষিণ সিকিমের নামচি ও পশ্চিম সিকিমের পেলিং পর্যন্ত যেতে পারছে।