স্কুল-কর্তাদের আর্জি বক্সার খুদেদের
Primary School

পড়তে চাই, স্কুল খুলে দিন

করোনা পরিস্থিতির জেরে গত প্রায় ন’মাস ধরে স্কুল বন্ধ। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাস চালু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৬:২৮
Share:

পাঠ: বহু দিন পরে বইয়ে চোখ। বক্সাদুয়ার বিএফপি স্কুলে পড়ুয়াদের সঙ্গে আলিপুরদুয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারপার্সন গার্গী নার্জিনারি। ছবি: নারায়ণ দে

“দয়া করে স্কুলটা খুলে দিন। আমরা আগের মতো পড়াশোনা করতে চাই।”— প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের কর্তাদের সামনে পেয়ে বৃহস্পতিবার এমনই কাতর আর্জি জানাল বক্সা পাহাড়ে বাস করা এক ঝাঁক খুদে পড়ুয়া। স্কুল নিয়ে প্রত্যন্ত বক্সা পাহাড়ের খুদে পড়ুয়াদের এই আগ্রহে স্বাভাবিকভাবেই খুশি আলিপুরদুয়ারের শিক্ষা-কর্তারা। তাঁদের আশা, বক্সা পাহাড়ের মতো দুর্গম জায়গায় এর পরেও স্কুলছুট হবে না কেউ।

Advertisement

করোনা পরিস্থিতির জেরে গত প্রায় ন’মাস ধরে স্কুল বন্ধ। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাস চালু হয়েছে। কিন্তু বক্সা পাহাড়ের মতো দুর্গম এলাকায় নেটওয়ার্কের যথেষ্ট সমস্যা রয়েছে। তার উপর আর্থিক কারণে অনেকের পক্ষেই স্মার্ট ফোন কেনা সম্ভব নয় এখানে। এর ফলে এমন প্রত্যন্ত এলাকা পড়ুয়াদের নিয়ে চিন্তা বাড়ছিল শিক্ষা-কর্তাদের মধ্যে। বিশেষ করে, এমন দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় প্রাথমিক স্তরে স্কুল ছুটের হার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও করছেন অনেকে।

সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই আলিপুরদুয়ার জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের উদ্যোগে শুরু হয়েছে ‘বাচ্চারা কেমন আছো’ কর্মসূচি। ওই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবেই এ দিন বক্সা পাহাড়ে যান সংসদের চেয়ারম্যান গার্গী নার্জিনারি, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) সুজিত সরকার-সহ অন্য আধিকারিকরা। বক্সার একটি প্রাথমিক স্কুলে গিয়ে খুদে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথাও বলেন তাঁরা। সেখানেই খুদে পড়ুয়ারা সংসদের কর্তাদের কাছে দ্রুত স্কুল খোলার আর্জি জানায়। এক খুদে বলে ওঠে, “আর বাড়িতে থাকতে ভাল লাগছে না। আবার আগের মতো স্কুলে এসে পড়াশোনা করতে চাই। বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে চাই।”

Advertisement

যা শুনে সংসদ চেয়ারম্যান বলেন, “পড়ুয়ারা এখন অধীর আগ্রহে আবার স্কুলে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। ওরা বলছে, বাড়ি থেকে স্কুল ওদের বেশি ভাল লাগে। এটা একটা ইতিবাচক দিক। এটুকু বুঝলাম, এই বাচ্চারা স্কুলবিমুখ হবে না।” শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “এখানকার যুবক-যুবতীদের অনেকেও খুদে পড়ুয়াদের পড়াশোনার দিকটাতে নজর রাখছেন বলে শুনলাম। এটাও ভাল দিক।”

পড়াশোনার সঙ্গে খুদে পড়ুয়াদের যোগাযোগ রাখতে সংসদ কর্তারা এ দিন তাদের হাতে বই তুলে দেন। সেই সঙ্গে তাদের হাতে পুষ্টিকর খাবার ও মাস্কও তুলে দেওয়া হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement