Malda River level Rise

বাড়ছে নদীর জলস্তর, বন্যার আশঙ্কা জেলায়

প্রশাসনের দাবি, রতুয়ার জিতুরামটোলা, পটলডাঙার মতো সাতটি গ্রামে গঙ্গা ভাঙনে ১২টি ট্রান্সফরমার তলিয়ে যায়। সে গ্রামগুলি দুই সপ্তাহ ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৩ ০৯:১৩
Share:

মহানন্দার জলে বানভাসি ১২ নম্বর ওয়ার্ডে নদী তীরের বাড়িঘর। বুধবার। ইংরেজবাজারে। ছবি: স্বরূপ সাহা।

বুধবারেও মালদহে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে গঙ্গা। বিপদসীমা ছুঁইছুঁই ফুলহার নদীও। বিপদসীমা থেকে নীচে থাকলেও মহানন্দা নদীর জলস্তরও বাড়ছে। নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া, ভাঙনে বিদ্যুতের খুঁটি, ট্রান্সফরমার নদী গর্ভে তলিয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল রতুয়ার একাধিক গ্রাম। এ দিন থেকে সে গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়েছে, দাবি সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাদের।

Advertisement

মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, “ভাঙন নিয়ে নিয়মিত নদীগুলিতে নজরদারি চালানো হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ব্লকগুলিতে যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে যে সমস্ত এলাকা প্লাবিত হয়েছে, সে এলাকার মানুষদের অন্যত্র সরানো হয়েছে।”

প্রশাসনের দাবি, রতুয়ার জিতুরামটোলা, পটলডাঙার মতো সাতটি গ্রামে গঙ্গা ভাঙনে ১২টি ট্রান্সফরমার তলিয়ে যায়। সে গ্রামগুলি দুই সপ্তাহ ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। এমন অবস্থায় জলের মধ্যে নৌকা নিয়ে গিয়ে বিদ্যুতের খুঁটি বসানো হয়েছে বলে জানান বিদ্যুৎ দফতরের রিজিওন্যাল ম্যানেজার উজ্জ্বল দত্ত। তিনি বলেন, “দফতরের কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করেছেন। ১২টি ট্রান্সফরমার বসানো হয়েছে। গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়েছে।”

Advertisement

মালদহে সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে নদীগুলির জলস্তর বাড়তে থাকে। কিন্তু এ বার উত্তর ভারতে ভারী বৃষ্টির কারণে অগস্ট থেকেই জেলার নদীগুলির ফুলেফেঁপে উঠেছে। ফলে, এখন থেকেই জেলায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই সঙ্গে, রতুয়া, মানিকচক, বৈষ্ণবনগরে ভাঙনও চলছে। যদিও এ দিন নতুন করে কোথাও কোনও ভাঙন হয়নি, দাবি সেচ দফতরের কর্তাদের।

সেচ দফতরের দাবি, এ দিনও গঙ্গা বিপদসীমা ২৪.৬৯ মিটারের উপর দিয়ে বইছে। গঙ্গার জলস্তর ২৪.৭৫ মিটার রয়েছে। ফুলহার ২৭.৪০ মিটার এবং মহানন্দা ১৯.২৩ মিটার উচ্চতা দিয়ে বইছে। এ দিন বিকেল ৫টার পর থেকে গঙ্গা, ফুলহারের জলস্তর না বাড়লেও, বাড়ছে মহানন্দার জলস্তর। সেচ দফতরের দাবি, সর্বত্রই ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে, এখন নদীগুলির জল বাড়বে। তবে যে ভাবে জলস্তর বাড়ছে তাতে খুব দ্রুত নদীগুলি চরম বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement