দার্জিলিঙে বৃষ্টি। — নিজস্ব চিত্র।
উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বুধবার সকাল থেকে সেই ছবিই দেখা গিয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়। পাহাড় এবং সমতলের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি প্রধান নদীতে। সিকিম এবং ভুটানে প্রবল বৃষ্টির জেরে জলস্তর বাড়ছে ওই নদীগুলির। এই আবহে উত্তর সিকিমের পরিস্থিতি নিয়ে পূর্বাভাস আরও বাড়িয়ে দিয়েছে আশঙ্কা।
গত কয়েক দিন ধরে সিকিম এবং ভুটানে চলছে লাগাতার বৃষ্টি। তার জেরে ফুঁসছে উত্তরবঙ্গের নদীগুলি। ফলে নদী তীরবর্তী জনবসতি নিয়ে বাড়ছে আশঙ্কাও। তিস্তার অংসরক্ষিত এলাকায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে জলঢাকা, রায়ডাক, তোর্সা-সহ উত্তরবঙ্গের অন্যান্য নদী নিয়েও। বুধবার সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি দেখা যায় দার্জিলিং, কালিম্পং, শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ির বিভিন্ন এলাকায়। মেঘাচ্ছন্ন আকাশও। দুপুরের পর বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি শুরু হয় ধূপগুড়ি এবং মালবাজারের বিভিন্ন জায়গায়। জলের স্রোতে রাস্তা ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাওয়ায় জয়গাঁর ঝরনা বস্তি থেকে জয়গাঁ বাজার পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রশাসনের তরফে শুরু করা হয় মেরামতির কাজ।
সিকিমে নেমেছে ধস। — নিজস্ব চিত্র।
এই পরিস্থিতিতে আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে উত্তর সিকিমে প্রবল বর্ষণ। সিকিমের আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহার পূর্বাভাস, ‘‘আগামী ২৪ ঘন্টায় উত্তর সিকিমে অতিভারী বৃষ্টিপাত হবে। উত্তর সিকিমে লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। বিক্ষিপ্ত ভাবে বিভিন্ন জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হবে।’’ তবে বৃহস্পতিবার থেকে আকাশ পরিষ্কার হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রায় প্রতি দিনই ধস নামছে উত্তর সিকিমের বিভিন্ন এলাকায়। ধসে বিপর্যস্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। তার জেরে বিপাকে পড়েছেন উত্তর সিকিমে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা।
উত্তরবঙ্গের বেশ কিছুটা অংশ জুড়ে মেঘ-বৃষ্টি দেখা গেলেও মালদহের আকাশ পরিষ্কার। মঙ্গলবার রাতে উত্তর দিনাজপুরে বৃষ্টি হয়েছিল কিছুটা। কিন্তু বুধবার সকাল থেকে পরিষ্কার আকাশ। কোচবিহারে সকাল থেকে মেঘলা ছিল আকাশ। তবে দেখা মেলেনি বৃষ্টির।